বর্তমান সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আজ ডান-বাম সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। শিগগির বাংলাদেশের জনগণ বর্তমান আওয়ামী সরকারের পতন ঘটাবে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করেন।
তিনি বলেন, আজ দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ নাম্বার ওয়ান। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো। মিছিলে মিছিলে বাংলাদেশ ভরে দেবো। তবুও আমরা এই সরকারের নির্বাচন মানবো না।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিমা রহমান বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন বিএনপিকে দাঁতভাঙা জবাব দেবেন। তিনি এই কথা বলার কে? তিনি তো ভোটারবিহীন নির্বাচনে একজন মন্ত্রী।’
তিনি বলেন, ‘গত ২৮ অক্টোবরের পর আমাদের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। অনেক ভাই ও বোনেরা ঘরে ঘুমাতে পারে না। ছেলেকে না পেলে মাকে, ভাইকে, বোন কিংবা বাবাকে নিয়ে যাচ্ছে। অনেককে ধরে নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ দাবি করে। তারা নিজেরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের মহাসমাবেশে হামলা করে পণ্ড করে দিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের ন্যায্য অধিকার দেওয়া হচ্ছে না। আজ দেশের বিচার বিভাগ চলছে একজনের নির্দেশে। বিশ্বের কোথাও বাংলাদেশের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন নেই। সরকার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ অনেকগুলো কার্যালয় বন্ধ করে রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান লোভী ও ফ্যাসিস্ট সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি রেখে তিলে তিলে মারতে চায়। আমরা জনগণকে বলবো- এই সরকারকে না বলুন। আপানারা দোকানপাট বন্ধ রাখুন। বিদেশ ভ্রমণ বাদ দিন। বিয়েশাদির কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করুন। দেশে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। পেঁয়াজের কেজি কত? এভাবে বেশিদিন চলবে না।’
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, মহিলাদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বর্তমান সভাপতি আফরোজা আব্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া, নাজিম উদ্দিন আলম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, রেহানা আক্তার রানু, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হাছিন আহমেদ, সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
এমজে/