এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সবোর্চ্চ গ্রেড জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন। সে হিসাবে গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭।

আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এইচএসসির ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন ১১ শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। এরপর বেলা ১১টায় পর থেকে শিক্ষার্থীরা এসএমএস, নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও প্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে কাঙ্ক্ষিত ফল দেখতে পাচ্ছেন।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, পাসের হারেও এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।

ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৭৩ দশমিক ৮১ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ও রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ বলে জানা গেছে।

চলতি বছর এসএসসি পর এইচএসসিতে পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই কমেছে। গত বছরের চেয়ে পাসের হার কমেছে ৭.৩১ শতাংশ আর জিপিএ-৫ কমেছে ৮৩ হাজার ৯১৭। অন্যান্য কিছু সূচকেও নেতিবাচক ফল হয়েছে এবার। ফলাফলের এ অবনমনের কারণ হিসেবে শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা বলছেন, চলতি বছরের এসএসসিতে সবগুলো বিষয়ে পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে। এর আগের বছরগুলো করোনা মহামারির কারণে ২০২১ ও ২০২২ সালের পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হয়েছিল, তাই শিক্ষার্থীরা এক ধরনের সুবিধা পেয়েছিল। যেটা এবার ছিল না। এই কারণে চলতি বছর গড় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে।

গত ১৭ আগস্ট শুরু হয়েছিল এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। অবশ্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রাম এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা কিছুদিন পর শুরু হয়েছিল। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হয়েছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। সারাদেশে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৫৮টি এবং মোট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ১৬৯টি। এর আগে ২০২২ সালে সব বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img