খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা ।
১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ২৪টি মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০ হাজার ৪১টি অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছেন।
এসময় তিনি বহুল প্রত্যাশিত দেশের ১৫তম ও পার্বত্যাঞ্চলের প্রথম স্থলবন্দর রামগড় আর্ন্তজাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের উদ্বোধন করেন।
ইতোমধ্যে রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে টার্মিনাল শেড, ব্যাংক, কাস্টমস, বিজিবি ও পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্থল বন্দর নির্মাণ নিয়ে সীমান্ত জটিলতায় এতদিন কাজ শুরু করা যায়নি। তবে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল উদ্বোধন হলেও যাত্রী পারাপার শুরু হচ্ছে না। ভারত অংশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এসময় টার্মিনাল ভবনে বড় পর্দায় যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর ভার্সুয়ালী উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপভোগ ও উদ্বোধনের নাম ফলক উম্মোচন করেন, রামগড় সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল লতিফ, রামগড় ৪৩ বিজিবির স্টাফ অফিসার (এডি) রাজু আহাম্মেদ, কাস্টমর্স অফিসার সরওয়ার উদ্দিন, রামগড় থানা অফিসার ইনচার্জ দেব প্রিয় দাশ, রামগড় পৌরসভার প্যানেল মেয়র ১ ও কাউন্সিলর শামীম মাহমুদ, রামগড় হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: এবিএম মোজাম্মেল হক, টার্মিনাল ইনচাজ আবতাব উদ্দিন, টার্মিনাল সুপারেন্টেন্ড মাসুম বিল্লাহ, টার্মিনাল পুলিশ ইনচার্জ মনির হোসেনসহ সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে রামগড়ে মহামুনি এলাকায় ফেনী নদীর উপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ এবং ১৪.৮০ মিটার প্রস্থের ১৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারত সরকার কর্তৃক নিমিত হয় মৈত্রীসেতু ১ । ২০২১ সালের ৯ মার্চ দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভার্সুয়ালী মৈত্রীসেতু ১ এর উদ্বোধন করেন।
এমজে/