তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশকে একসময় অনেকেই বলতো তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ। আজ সেই নাম পাল্টে বাংলাদেশ হয়েছে উপচেপড়া ঝুড়ির দেশ।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ ঐতিহাসিক ১৭ মে, বঙ্গবন্ধুকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। ১৯৮১ সালের এই দিনে ঝড়বৃষ্টি ছিল। আমরা সেদিন স্লোগান দিয়েছিলাম, “ঝড় বৃষ্টি আঁধার রাতে, শেখ হাসিনা আমরা আছি তোমার সাথে”। আমরা কতখানি তাঁর সঙ্গে থাকতে পেরেছি জানি না। তবে তিনি বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে থেকেছেন সর্বক্ষণ।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের এই দিনে দেশে ফেরার পর থেকে সাধারণ মানুষের কাছে ছুটে বেড়িয়েছেন। ছুটে বেড়াতে গিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে বহুবার বিভিন্নভাবে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার টানা তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালন করছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই শুভ দিনে আমাদের আরও দুটি সুসংবাদ দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৬৪ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সেই মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলারে। ঐতিহাসিক দিনে এটা সুসংবাদ বটে, কেননা করোনা মহামারিতে বিশ্বের বহুদেশ যেখানে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত সেখানে বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় অর্জন। আরেকটি সুসংবাদ হচ্ছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ২৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা; আর ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩০ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।’
দেশের বিচারবিভাগ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনার প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত স্বাধীন। তা না হলে এত অপকর্মের পরও বিএনপির নেতাকর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেতেন না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ কতোটা স্বাধীন এটাতে তার প্রমাণ হয় যে, সরকারের সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিতে হয় এবং তাদের সাজাও হয়। স্বাধীন না হলে এটি হতো না। বিএনপি মহাসচিবের এই অভিযোগ তার ধারাবাহিক বক্তব্যের অংশ।’
ফিলিস্তিনে ইসলায়েলের হামলার প্রতিবাদ করছে বিশ্বমানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি খুবই রহস্যজনক, বাংলাদেশে কোথাও পান থেকে চুন খসলে আবার চুন থেকে পান খসলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ ধরনের বিবৃতি দেয়। কিন্তু ফিলিস্তিনে এমন ঘটনায় তাদের কোনও বিবৃতি আমাদের চোখে পড়েনি। আরেকটি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সারা পৃথিবী নাকি ওয়াচ করে বেড়ায়। কিন্তু ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের এই হামলা তাদের চোখে পড়ে না।’