ফিলিপাইনে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে শক্তিশালী টাইফুন ডোকসুরি। এতে দেশটিতে ছয়জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার টাইফুনের কারণে তাইওয়ানে বন্ধ করে দেয়া হয় স্কুল এবং বাজার। এ ছাড়া কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসহ শত শত অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়। বন্ধ ছিল দক্ষিণ এবং পূর্ব তাইওয়ানে রেল পরিষেবাও।
সতর্কতা হিসেবে চার হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। বেশির ভাগই পাহাড়ি দক্ষিণ এবং পূর্ব তাইওয়ানে। তাইওয়ানের এই অঞ্চলগুলোতে ডোকসুরির প্রভাবে প্রায় ০.৭ মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় এবং ১ মিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হয়। ঝড়ে তাইওয়ানজুড়ে ১৫ হাজার ৭০০টিরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল।
বুধবার টাইফুন ডোকসুরি ফিলিপাইনের দ্বীপপুঞ্জের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানে। টাইফুনের প্রভাবে এলাকাটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। নিচু গ্রাম প্লাবিত এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। শক্তিশালী টাইফুনটি গত বুধবার ফিলিপাইনে ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার (১০৮ মাইল প্রতি ঘণ্টা) বেগে আছড়ে পড়ে।
বর্তমানে টাইফুন ডোকসুরি চীনের পথে রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই সপ্তাহের শেষের দিকে সেখানে আছড়ে পড়বে। স্থানীয় সময় ৮টায় টাইফুন ডোকসুরি দক্ষিণ তাইওয়ানে প্রতি ঘণ্টায় সর্বাধিক ১৯১ কিমি (১১৮ মাইল) বেগে আঘাত হানে। তাইওয়ানের আবহাওয়া ব্যুরো এটিকে দ্বিতীয় শক্তিশালী টাইফুন হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
কিন্তু বুধবার এটি উত্তর ফিলিপাইনের উপকূলে আঘাত হানার পর শক্তি হারিয়ে ফেলে। প্রথমে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে ফিলিপাইনে দুর্যোগ সংস্থা টাইফুন ডোকসুরির আঘাতে পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে।
তাইওয়ানের কাওশিউং শহরের মেয়র চেন চি-মাই বুধবার গভীর রাতে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, টাইফুন ডোকসুরিকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। প্রয়োজন হলে পুলিশ ও সামরিক বাহিনী জোরপূর্বক ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেবে। সূত্র : রয়টার্স
এমজে/