-আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে না ডাকা। নবি (সা.) বলেন, ‘যখন প্রার্থনা করবে তখন শুধু আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবে। যখন সাহায্য চাইবে তখন শুধু আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইবে।’ [সুনানে তিরমিজি (২৫১৬)।
-শরিয়ত অনুমোদিত কোনো একটি মাধ্যম দিয়ে আল্লাহর কাছে অছিলা দেওয়া।
-দোয়ার ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করা। হাদিসে এসেছে, ‘তোমাদের কারও দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় না, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাড়াহুড়া করে বলে যে, আমি দোয়া করেছি। কিন্তু আমার দোয়া কবুল হয়নি।’ [সহিহ বুখারি (৬৩৪০) ও সহিহ মুসলিম (২৭৩৫)]
-দোয়ার মধ্যে পাপের কিছু না থাকা।
-আল্লাহর প্রতি ভালো ধারণা নিয়ে দোয়া করা। নবি (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রতি যেমন ধারণা করে আমি তেমন।’ [সহিহ বুখারি (৭৪০৫)]
-দোয়াতে মনোযোগ থাকা। নবি (সা.) বলেন, ‘তোমরা জেনে রাখ, আল্লাহ কোনো উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না।’ সুনানে তিরমিজি (৩৪৭৯)
-খাদ্য পবিত্র (হালাল) হওয়া। ইবনুল কাইয়্যেম (রহ.) বলেন, হারাম ভক্ষণ করা দোয়ার শক্তিকে নষ্ট করে দেয় ও দুর্বল করে দেয়।
-দোয়ার ক্ষেত্রে কোনো সীমালঙ্ঘন না করা। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের রবকে ডাক। নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।’ [সূরা আরাফ, আয়াত : ৫৫]।
-ফরজ আমল বাদ দিয়ে দোয়াতে ব্যস্ত না হওয়া।
-দোয়া কবুল হওয়ার সময় দোয়া করা- যেমন : তাহাজ্জুদের সময়, আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়, আসরের নামাজের পর সূর্যাস্তের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। এ ছাড়া হালকা বৃষ্টির সময় বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে দোয়া।
এমজে/