নির্ধারণ করে দিলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি

সরকারের নির্ধারিত দরে বাজারে চিনি বিক্রি করার কথা থাকলেও বাড়তি দরেই চিনি কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। দোকানিরা বলছেন, মিলগেট থেকেই তাঁরা বেশি দামে চিনি কিনছেন। ফলে সরকারের নির্ধারিত দরে চিনি বিক্রির সুযোগ নেই। চট্টগ্রামের খুচরা বাজারেও আগের দরেই (খোলা ১১২ টাকা কেজি) চিনি বিক্রি হচ্ছিল গতকাল শনিবার। পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে চিনি বিক্রি হচ্ছিল বাড়তি দরে, কেজি ১০৮ টাকায়।

গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাসে চিনির দাম কমিয়েছে সরকার। তিন টাকা কমিয়ে খোলা চিনির কেজি ১০৪ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল থেকে নতুন এই দাম কার্যকর হওয়ার কথা।

গতকাল রাজধানী ঢাকার শান্তিনগর ও কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, নতুন দরে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের বাড়তি দরেই চিনি কিনতে হচ্ছে। প্যাকেটজাত চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। আর খোলা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১২ টাকায়। লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।

দোকানিরা জানান, তাঁরা মিল পর্যায় থেকে চিনি কিনতে পারেননি। খোলা চিনি ৫০ কেজির বস্তা পাঁচ হাজার ৪৮০ থেকে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকায় কিনতে হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি কেজি ১০৯ থেকে ১১০ টাকায় মিলগেট থেকে কিনতে হয়েছে। তাই তাঁরা সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করতে পারছেন না।

কারওয়ান বাজারের ইউসুফ জেনারেল স্টোরের মো. ইউসুফ আলী কবির বলেন, প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি করছেন ১১৫ টাকা, খোলা ১১২ টাকা। আর মৌলভীবাজার থেকে ৫০ কেজির বস্তা কেনা পড়ে পাঁচ হাজার ৫৫০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি ১১০ টাকা। সরকারের নির্ধারিত দরে কেন পণ্য বিক্রি করছেন না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন দরের পণ্য এখনো বাজারে আসেনি।

তবে বেশ কয়েকটি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, পণ্যের গায়ে দামের কোনো লেবেল নেই। কোনো কোনো দোকানে লেবেল ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।

জানতে চাইলে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সরকারের নির্ধারিত দর আজ (গতকাল) থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও আজ মিল বন্ধ থাকার ফলে নতুন দরের পণ্য বাজারে পৌঁছাতে পারেনি। তবে রবিবার (আজ) থেকে নতুন দর কার্যকর হবে আশা করি।’

চট্টগ্রামে পাইকারিতে চিনির কেজি ১০৮ টাকা :

সরকার তিন টাকা কমিয়ে নতুন দর নির্ধারণ করায় পাইকারি বাজারে চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ, মিলগেটে এখনো আগের দরেই চিনি বিক্রি হচ্ছে। সেই চিনি বাড়তি দরে কিনে কম দামে বিক্রি করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা গোনার চেয়ে চিনি বিক্রি না করাই ভালো।

খাতুনগঞ্জের আড়তদার তৈয়বিয়া স্টোরের মালিক সোলায়মান আলম বাদশা বলেন, ‘শনিবারের সরবরাহ চিনি বাজারে আসেনি। ফলে দামও জানা যায়নি। তবে এর আগে মণপ্রতি তিন হাজার ৯৮০ থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল।’

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img