প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে যা বললেন লেগি রিশাদ

লাল বল, সাদা বল নেই। সব ফরম্যাটেই লেগস্পিনার মানেই ম্যাচ ভাগ্য ঘুরিয়ে দেওয়া বোলার। লেগি মানেই ম্যাচ উইনিং বোলিং অপশন। তাই বিশ্বের প্রায় সব পরাশক্তিরই একজন করে লেগস্পিনার আছেন। যারা প্রতিনিয়ত ম্যাচ ঘুরিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন।

অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তানের বোলিং আক্রমণের অন্যতম অস্ত্রই লেগস্পিন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশ জাতীয় দলে একজন লেগস্পিনারের অভাব বহুদিনের।

মাঝে মানে এই চন্ডিকা হাথুরুসিংহের প্রথম মেয়াদেই দুজন লেগি জুবায়ের হোসেন লিখন আর তানবীর হায়দারকে ‘ট্রাই’ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউই জাতীয় দলে জায়গা পাকা করতে পারেননি। দুজনই হারিয়ে গেছেন।

এবার আয়ারল্যান্ডের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে নেওয়া হয়েছে আরেক লেগি রিশাদ হোসেনকে। আবাহনীর হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলা লম্বা গড়নের রিশাদ হোসেনের কেমন লাগছে প্রথম জাতীয় দলে ডাক পেয়ে?

অনেক দিন পর একজন লেগির অন্তর্ভুক্তি কি বাড়তি চাপ? রিশাদ কি সেই চাপ নিতে প্রস্তুত? বুধবার মোহামেডানের বিপক্ষে খেলা শেষে শেরে বাংলায় নিজ দলের ড্রেসিংরুমের সামনে এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হন রিশাদ।

প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ায় খুব খুশি রিশাদ। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। সবকিছু মিলেই আলহামদুলিল্লাহ্। আগের কথা ভাবছি না। এখন যেহেতু ডেকেছেন আমকে, আমি সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

জাতীয় দলের নেটে অনেক বোলিং করেছেন। রিশাদ মানছেন, সেখানে কিছু ঘাটতি ছিল। সে সব ঘাটতি পূরণের চেষ্টা করেছেন। তাই মুখে এমন কথা,
‘(জাতীয় দলের) নেটে বোলিং করতাম, ঠিক আছে। তখন হয়তো আমার কিছু ঘাটতি ছিল। ওগুলো নিয়ে কাজ করতাম। ওইটা আমি ইনশাআল্লাহ প্রমাণ করার চেষ্টা করব।’

তিনি তো খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান না, সেটা কি একটা বড় সমস্যা নয়? রিশাদের আত্মবিশ্বাসী জবাব, ‘আসলে সমস্যা না। আমি সবসময় প্রস্তুত ছিলাম। প্রস্তুত ম্যাচ খেলছিলাম, নেটে অনুশীলন করছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো প্রস্তুতি আছে।’

তার আগে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া লেগিরা হারিয়ে গেছেন। এসব ভেবে কি চিন্তিত? রিশাদের উত্তর, ‘আমি আসলে এত কিছু (লেগ স্পিনাররা হারিয়ে যায়) চিন্তা করি না। আমার চিন্তাভাবনা, খেললে যেন অনেকদিন খেলতে পারি। আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন লম্বা সময় খেলতে পারি।’

অনেক দিন পর লেগি হয়ে দলে আসা কোনো চাপ মনে করেন না রিশাদ। তার কথা, ‘আমি যেন সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে পারি, এটাই সবচেয়ে বড় চাপ আর কি! আমি স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছি। স্বাভাবিক আছি। আলহামদুলিল্লাহ।’

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img