চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছোট কুমিরা এলাকায় তুলার গুদামে লাগা আগুন প্রায় ২০ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
রোববার সকালে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগে। তবে রাতভর যৌথ বাহিনীর ২২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
ঘটনাস্থলের আশেপাশে পানির পর্যাপ্ত উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘তুলা দাহ্য পদার্থ হওয়ায় আগুন নেভানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর ফায়ার ফাইটিং টিমের পাশাপাশি যোগ দিয়েছে বিজিবিও।
কুমিরা ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র ফায়ার স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘তুলার মধ্যে আগুন ধরে যাওয়ায় নিয়ন্ত্রণে আনতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে তুলার গোডাউনে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে সংস্কার করছিল শ্রমিকরা। হঠাৎ গ্যাস কাটিনের স্ফুলিঙ্গ তুলার মধ্যে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। পুরো গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে আগুনের ভয়াবহ দাবানল।
জেলা প্রশাসন জানায়, সপ্তাহখানেক ধরে এসএল গ্রুপের গোডাউনটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের স্ফূলিঙ্গ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিসি আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান।
ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য, আশেপাশের সব জলাশয় শুকিয়ে যায়। শেষ হয়ে আসে কিছু দূরের পুকুর, খাল ও ন্যামসন কন্টেইনার ডিপোর রিজার্ভারও। এমন পরিস্থিতিতে বাড়বকুণ্ড, ভাটিয়ারী ও চট্টগ্রাম সেনানিবাস এলাকা থেকে আগুন নির্বাপণে প্রয়োজনীয় পানির জোগান দয়া হয়।
সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক বলেন, রোববার ভোরে সবার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন ধোঁয়া শুধু আছে। আমরা এখনও পানি ছিটাচ্ছি। আশা করি কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরোপুরি নির্বাপণ হয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বিজিবির মোট ২২টি ইউনিট কাজ করছে। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে রয়েছে সেনাবাহিনীর বিশেষ উদ্ধারকারী টিম ইউএসএআর (ইউনিট সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ টিম)।
এমজে/