মাওলানা মামুনুল হকসহ কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। তবে পুলিশের সম্মতি না পাওয়ায় মিছিল করতে পারেননি দলের নেতা–কর্মীরা।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমের উত্তর প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর কমিটি এ সমাবেশ করে।
সমাবেশে খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেছেন, অপশক্তিকে খুশি রাখতে, আগামী নির্বাচনের বৈতরণি পার হতে সরকার আলেম-ওলামাদের বন্দী করে রেখেছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জনতার ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। অত্যাচার-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না। রমজান বিজয়ের মাস, এই মাসেই আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব ইনশা আল্লাহ।’
বিতর্কিত পাঠ্যবই প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানিয়ে জালালুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘অবিলম্বে নাস্তিক মুরতাদের অংশগ্রহণে গঠিত শিক্ষা-সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি বাতিল করতে হবে। এসব অপকর্মের যাবতীয় দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে শিক্ষামন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে সদ্য কারামুক্ত কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, ‘মাওলানা মামুনুল হককে কলঙ্কিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু তিনি আজ এ দেশের কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। আদালতের দোহাই দিয়ে মামুনুল হককে বন্দী করে রাখা যাবে না।’
সরকারের উদ্দেশে আতাউল্লাহ আমীন অভিযোগ করে বলেন, ‘আপনারা নিজেরাই আদালতের নির্দেশনা মানেন না। লিখিত অনুমতি নিয়ে মামুনুল হকের ছেলে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা আদালতের সেই অনুমতিপত্র ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন।’
সমাবেশে রোজার আগেই মামুনুল হক, সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মনির হোসাইন কাসেমী, মাঈনুল ইসলাম খন্দকার, রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ কারাবন্দী আলেমদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন খেলাফতে মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শরাফত হোসাইন, মাওলানা তাফাজ্জুল হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আবুল হাসানাত, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা শরীফ হোসাইন, কামাল উদ্দিন ফারুকী, আবু হানিফ নোমান প্রমুখ।