সিলেটকে হারিয়ে ফাইনালে কুমিল্লা

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ছন্দে ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। অন্যদিকে শুরুর তিন হারের পর ছন্দ পেয়ে হারতেই ভুলে গেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) লিগ পর্বে ভালো খেলার পুরস্কার পাওয়া দুদলের জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় ছিল ক্রিকেটপ্রেমীরা। উত্তেজনায় জল ঢেলে একপেশে ম্যাচ বানিয়ে জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা। রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম কোয়ালিফায়ারে সিলেটকে ১২৫ রানে বেঁধে রেখে কুমিল্লার জয় চার উইকেটে, ২০ বল বাকি থাকতে। এই জয়ে প্রথম দল হিসাবে বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেল কুমিল্লা। এটি তাদের টানা দশম জয়।

হারলেও আরও একটি সুযোগ আছে মাশরাফির সিলেটের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তারা প্রথম অ্যালিমিনেটর পর্বে জয় পাওয়া রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে যারা জিতবে, তারাই দ্বিতীয় দল হিসাবে ফাইনালে উঠবে।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট ঘর গোছানোর আগেই দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলে। যে বলে সাধারণ চার-ছক্কা হয়, সেই বলেই আউট হন ওপেনার শফিকুল্লা গাফারি। লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া ফুলটস বল মারতে গিয়ে অফ-সাইডে এনে ক্যাচ বানিয়ে ফেরেন তিনি। এক বল পর দুর্দান্ত ছন্দে থাকা তৌহিদ হৃদয় বাজে রানআউটের শিকার হন। আরেক তরুণ ব্যাটার জাকির হাসানও ব্যর্থ হন। ধাক্কা সামাল দিতে পাঁচে নেমে মাশরাফি বাজিতে কিছুটা সফলও হন। নাজমুল হোসেনকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটিও গড়েন। মাশরাফি আউট হলে আবার ধাক্কা খায় সিলেট। ১৭ বলে ২৬ রান করেন মাশরাফি। তার বিদায়ের পর ছয় রানের মধ্যেই নাজমুল (৩৮) ও রায়ান বার্ল আউট হন। এই ধাক্কা তারা আর সামাল দিতে পারেনি। ইনিংস মেরামতের চেষ্টায় কিছুটা ঝলক দেখিয়ে ২৯ রান করেন মুশফিকুর রহিম। মাত্র ১৭.১ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট। দুটি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম, আন্দ্রে রাসেল ও মোস্তাফিজুর রহমান। জবাবে সুনীল নারিন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে কুমিল্লার জয়ের ভিত গড়ে দেন। লিটন দাস ১০ বলে সাত রান করে আউট হওয়ার পর জনসন চার্লসও রানআউট হন। নারিনের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ৩৯ রান। এরপর আর ম্যাচ জয়ের জন্য পেছনে ফিরতে হয়নি কুমিল্লাকে। তিন উইকেট নেন রুবেল হোসেন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img