গাজীপুরের শ্রীপুরের বরমী বাজার ও রাজাবাড়ি বাজারে বিএনপির পদযাত্রায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিএনপির নেতা–কর্মীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা হামলার সঙ্গে জড়িত। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে বরমী বাজার ও রাজাবাড়ি বাজারে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির অন্তত ৯ নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।
আহত নেতা–কর্মীরা হলেন গাজীপুর জেলা বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ সরকার, শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান, রাজাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আজহার আলী এবং বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের কর্মী ফরহাদ ফকির, মো. এমদাদ, মো. নাহিদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম, নাঈম আহমেদ ও ঈসাদ আহমেদ।
আজ বেলা ১১টার দিকে রাজাবাড়ি বাজারে পদযাত্রা বের করেন রাজাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা। শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান বলেন, ‘পদযাত্রা চলাকালে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করে। হামলায় আমি ও আজহার (রাজাবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক) আহত হয়েছি। পরে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।’
একই ধরনের অভিযোগ করেছেন বরমী বাজারে অনুষ্ঠিত পদযাত্রায় অংশ নেওয়া বিএনপির নেতা–কর্মীরা। সেখানে হামলায় জেলা বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মাসুদ সরকারসহ সাতজন আহত হয়েছেন। মাসুদ সরকার বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরমী বাজারে বরমী ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রা চলছিল। কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে হঠাৎ বরমী আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল এসে তাঁদের ওপর হামলা করেন। হামলায় তিনিসহ সাতজন আহত হয়েছেন। পরে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তবে বিএনপির নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। আওয়ামী লীগ কিংবা এর সহযোগী সংগঠনের কেউ হামলা করেনি। তবে বিএনপি পদযাত্রার নামে নৈরাজ্য করলে, সেটা প্রতিহত করা হবে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে হামলার কোনো অভিযোগ পুলিশের কাছে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।