বিএনপি না এলেও যথাসময়েই নির্বাচন: আইনমন্ত্রী

২০১৪ সালের মতোই বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে আবার একতরফা নির্বাচন আয়োজনের ইঙ্গিত দিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, যদি কোনো দল নির্বাচনে না এলে সেটি তাদের দায়িত্ব না। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে কেউ ভোটে বাধা দিলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া। সেটি তারা করবেন।

রোববার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে নতুন বছর উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, নির্বাচন গণতান্ত্রিক দেশের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কাজেই সঠিক সময়ে সঠিকভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপে নিয়ে আসতে, গণতন্ত্রের শিকড় বাংলাদেশে শক্ত করতে যথেষ্ট চেষ্টা করছে। বর্তমানে গণতন্ত্রের যে বিকাশ, তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই হয়েছে। যে কারণে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, এই সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। এরপর সংবিধানে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে নির্বাচন হবে।

নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার না হলে ২০১৪ সালের মতোই নির্বাচন বর্জন করার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান নিয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যদি কোনো দল নির্বাচনে না-আসে, সেটা-তো আমাদের দায়িত্ব না। আমরা আশা করবো, পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পর সংবিধানে যে সময়ে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে—সেটা ২০২৩ সালের শেষে হোক, কিংবা ২০২৪ সালের প্রথমে—যখন নির্বাচন হবে, আমরা আশা করব সবাই তাতে অংশগ্রহণ করবে।

জামায়াতে ইসলামী গেল কয়েকদিন ধরে সহিংসতা করছে, সংঘর্ষও হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের ব্যবস্থা নিয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে। এটা পরিষ্কার কথা। কারণ এখন জনগণ উন্নয়ন চায়।

তিনি বলেন, আমরা সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। কাজেই এর মধ্যে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জামায়াত নিষিদ্ধে কোনো নির্বাহী আদেশ দেয়া যায় কি না— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, সেটা আপনারা দেখবেন, ধন্যবাদ।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সংগঠন মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। এ বিষয়ে আপনারা কী ভাবছেন— জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের চেয়ে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে। আমি বলব, যেসব ক্ষেত্রে জনগণ বিচার পায়নি, সেসব ক্ষেত্রে বিচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে, তারা কিন্তু অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলেননি। কাজেই তাদের বক্তব্য কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা আপনারা নির্ধারণ করবেন।

এমজে/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img