‘ব্ল্যাকহেডস’ এক ধরনের ব্রণ যা ময়লা ও ত্বকের তেলের কারণে লোমকূপ আবদ্ধ হয়ে দেখা দেয়। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে এই সমস্যা দূর করা যায়।
রূপচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাকৃতিক উপাদানের মাধ্যমে ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায় সম্পর্কে জানানো হল।
বেইকিং সোডা: এটা ফাঙ্গাস ও ব্যাক্টেরিয়া রোধী উপাদান সমৃদ্ধ যা ব্ল্যাকহেডস দূর করতে সাহায্য করে। ত্বক এক্সফলিয়েট করতে ও বাড়তি সিবাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বেইকিং সোডা ব্যবহার করা যায়।
বেইকিং সোডার সঙ্গে পানি মিশিয়ে পাতলা মিশ্রণ তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে হবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ও ভালো ফলাফল পেতে চাইলে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।
হলুদ: ‘ব্ল্যাকহেডস’য়ের সমস্যা দূর করতে হলুদ ও লবণের মাস্ক উপকারী। এই উপাদান শক্তিশালী প্রদাহরোধী ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা কোনো ঘষা মাজা ছাড়াই ‘ব্ল্যাকহেডস’য়ের সমস্যা দূর করে।
হলুদ ও নারিকেলের তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করে ১৫ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। একদিন পর পর ব্যবহারে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
মধুর মাস্ক: মধু ও ডিমের কুসুম মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে খুব সহজেই ‘ব্ল্যাকহেডস’য়ের সমস্যার সমাধান করা যায়। মধু ত্বক আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করে। রূপচর্চায় সাধারণত, ত্বক কোমল করতে মধু ব্যবহার করা হয়।
মধু ও ডিমের কুসুম আক্রান্তস্থানে ব্যবহার করা হলে তা সিবামের নিঃসরণ কমায় ও লোমকূপ সংকুচিত করতে সহায়তা করে। প্যাকটি মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা ত্বকের দ্রুত উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুবার ব্যবহার করতে হবে।
মনে রাখতে হবে
ত্বকের ধরন অনুযায়ী এসব উপাদান ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে। তাছাড়া ‘ব্ল্যাকহেডস’ দূর হতে সময়ও লাগে। তাই ত্বক পরিচর্যার পাশাপাশি ধৈর্য্য ধরে এসব উপাদান নিয়মিত ব্যবহার চালিয়ে যেতে হবে।
এছাড়াও, ‘ডাবল ক্লিঞ্জিং’ বা দুই স্তরে মুখের ত্বক পরিষ্কার করা স্থায়ীভাবে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।