শীতের বাতাস বেশ ভালোলাগে উপভোগ করতে। কিন্তু হাতের দিকে তাকিয়ে আৎকে উঠলেন!
খসখসে ত্বক, সামন্য ঘষাতেই সাদাটে দাগ পড়ছে। গালও টানছে, ঠোঁটেও শুষ্কভাব। আর এসবই যে শীতের শুষ্কতার প্রভাব সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ত্বকের যত্নে অর্গানিক পণ্য তৈরির ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ‘লাভ আর্থ’য়েঢর সহকারী প্রতিষ্ঠাতা পরিধী গোয়েল বলেন, “শীত মৌসুমে ত্বকে আর্দ্রতার বিশেষ চাহিদার সৃষ্টি হয়। যার অভাবে ত্বক শুষ্ক, অসামঞ্জস্য ও নির্জীব হয়ে যায়।” আর এই অবস্থা উন্নত করতে চাই কিছু বাড়তি যত্ন।
নারিকেল তেল
শীতে ত্বকের বাড়তি যত্নে নারিকেল তেল ব্যবহার চমৎকার কাজ করে।
মুখ ও দেহের ত্বকে কোমলভাব আনতে এবং বর্ণের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নারিকেল তেল সহায়ক। নিয়মিত শুষ্ক ত্বকে নারিকেল তেল ব্যবহার ত্বকের ক্ষয়পূরণ করে এবং জ্বলুনি কমায়।
এই তেলের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে মুখ ও দেহে ব্যবহার রোদেপোড়াভাব কমায় এবং কালো দাগ দূর করে।
ভ্যাসলিনের সঙ্গে লিপ-টিন্টস ব্যবহার
খসখসে বা শুষ্ক ঠোঁট শীতকালের সবচেয়ে বড় ও সাধারণ সমস্যা। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ঠোঁটে গ্লসি টিন্ট বা পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
একই জিনিস গালে ব্যবহার করলে গোলাপি আভা ফুটে ওঠে। ঠোঁট ও গালে টিন্ট ব্যবহারে মসৃণভাব ফুটে ওঠার পাশাপাশি সতেজভাব দেখা দেয়।
বাইরে যাওয়ার সময় ঠোঁটে এসপিএস ১৫ সমৃদ্ধ সানব্লক ব্যবহার সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি থেকে সুরক্ষা পায়।
ঘরে তৈরি মুখের তেল
ত্বকের যত্নে তেলের গুরুত্ব অপরিসীম। মুখের তেল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ক্রিমের চেয়ে ভালো কাজ করে। তাছাড়া প্রাকৃতিক তেলে রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা ত্বক সুস্থ রাখে।
অ্যাভাকাডো, গোলাপ এবং ল্যাভেন্ডার তেল মেইকআপের আগে ব্যবহার করা যেতে পারে। এসব তেল ত্বকে প্রাইমারের মতো কাজ করে এবং লোমকূপ আবদ্ধ না করেই মেইকআপের মসৃণ বেইজ তৈরিতে সহায়তা করে।
ফেইস মিস্ট
ফেইস মিস্ট ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় ও সতেজ রাখে। গোলাপের মিস্ট প্রাকৃতিক অ্যাস্ট্রিনজেন্ট সমৃদ্ধ। আর এর সুগন্ধ ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে সতেজ রাখে।।
কেউ চাইলে চালের পানিও মিস্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া শসা, গ্রিন টি এবং অ্যালো ভেরার মিস্টও উপকারী।
মধুর প্যাক
দইয়ের সঙ্গে মধু ও এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার ত্বকের পোড়াভাব দূর করে এবং অযাচিত শুষ্কতা কমায়। এটা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং পেশির সহনশীলতা উন্নত করতে সহায়তা করে।