দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বাংলাদেশের: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। উপকূলীয় এলাকায় বয়স্ক, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধিতাবান্ধব ৩২০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ তাদের গবাদিপশুসহ এ সব আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় নিতে পারবেন।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে জলবায়ু সংকট এবং নারী ও মেয়েদের অধিকার রক্ষা’ শীর্ষক বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে ফটোগ্রাফার নাইমুজ্জামান প্রিন্সের ছবি প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এবং অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে এই আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘ভৌগলিক কারণে দুর্যোগপ্রবণ দেশ হিসেবে প্রতি বছর আমাদের কোনও না কোনও দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের ব্যাপকতা প্রমাণ করে দুর্যোগের আগে সতর্কীকরণ ও ঝুঁকি কমানোই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান কৌশল হওয়া উচিত।’

‍‍‍‍‍‍‍‍‍দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বাংলাদেশের: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের নীতি-পরিকল্পনায় জনগণের জন্য দুর্যোগপূর্ব পূর্বাভাস ও দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস কৌশল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে আগাম সতর্কবার্তা উপকূলীয় সম্ভাব্য উপদ্রুত এলাকার জনগণের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’’ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে উপকূলে আমাদের ৭৬ হাজার ১৪০ জন প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে।’

‍‍‍‍‍‍‍‍‍দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি বাংলাদেশের: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এ সময় জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান এবং বাংলাদেশে ইউএনএফপি’র (জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল) ডেপুটি রিপ্রেজেন্টেটিভ মাসাকি ওয়াতাবি উপস্থিত ছিলেন।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img