খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রা, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় মতামত জানিয়েছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর অভিমত সম্বলিত নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৯ মে) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাবলিক রিলেশন্স অফিসার ড. মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ বিষয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা আমাদের অভিমত জানিয়েছি। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।

এর আগে শনিবার (৮ মে) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক একাত্তরকে জানান, খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে।

৬ মে (বৃহস্পতিবার) আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, আবেদনসংক্রান্ত ফাইলটি তিনি পেয়েছেন। এখন দেখে এ বিষয়ে মতামত দেবেন।

গুলশানে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে আইনমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছিল। এখানে দুটি নির্দিষ্ট শর্ত দেওয়া ছিল। শর্তগুলি মেনে তারা স্থগিতাদেশ গ্রহণ করেছিলেন এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন।

মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না এই দুই শর্তে তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন বলে জানান মন্ত্রী।

গত ৫ মে (বুধবার) রাত ১০টার কিছু পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কেন্দার এবং পরিবারের কয়েকজন সদস্য। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন করেন।

বিষয়টি ওইদিন রাতেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে কিনা আমরা সেসব বিষয় ভাবছি। আইনমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তার (খালেদা জিয়ার) পছন্দ অনুযায়ী, চাহিদা অনুযায়ী তিনি যেন চিকিৎসা পান আমরা সে বিষয়টি দেখছি।’

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। গত বছরের ২৫ মার্চ ছাড়া পাওয়ার পর তিনি গুলশানে তার বাসায়ই ছিলেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img