আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফরিদপুরের আকাশে রাতে টাকা উড়িয়েছেন। তিনি এখনই এমপি বানানোর কথা বলে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে মনোনয়ন বাণিজ্য শুরু করেছেন।’
শনিবার (১২ নভেম্বর) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উদ্বোধকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল কাকে কাকে মনোনয়ন দেবেন? মনোনয়নের কথা বলে বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছেন। তারেক জিয়া বস্তায় বস্তায় টাকা সুইস ব্যাংকে টাকা পাঠিয়েছেন। তাদের এই বাণিজ্যের বিরুদ্ধে খেলা হবে, খেলা হবে আন্দোলনে, খেলা হবে নির্বাচনে। তাদের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখাবে জনগণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বাংলা ইতিহাস বীরের ইতিহাস, বিশ্বাস ঘাতকতার ইতিহাস। জিয়াউর রহমান যদি হত্যাকারীদের সঙ্গে না থাকতেন, তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাহস হতো না। জিয়াউর রহমান খুনিদের পুরস্কৃত করেছেন। এই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রক্ষা করতে আইন সংশোধন করেছিলেন। ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তিনি, আর ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমান।’
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর প্রমুখ।
এছাড়া আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের এমপি এবাদুল করিম।
দীর্ঘ আট বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ায় বাঁধভাঙা আনন্দ ছিল নেতাকর্মীর মাঝে। আবারও সভাপতি পদে দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। তিনি আগের কমিটিতিও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।