বগুড়া শহরে নবম শ্রেণির ছাত্র রবিউল ইসলাম রবিন (১৭) হত্যার ঘটনায় রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ঢাকার সাভার থেকে গ্রেফতার আসামি মো. পারভেজ বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকালে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিন হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রবিউল ইসলাম রবিন বগুড়া শহরের উত্তর গোদারপাড়ার মুদি দোকানি নওশাদ আলীর ছেলে। সে শহরের কারবালা এলাকায় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারে (টিটিসি) নবম শ্রেণিতে পড়তো। গত ৪ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়িতে ফিরছিল। বাড়ির কাছে দুর্বৃত্তরা তার উরুতে ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত রবিনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা নওশাদ পরদিন দুপুরে সদর থানায় গোদারপাড়ার জাহাঙ্গীরের ছেলে তিন মামলার আসামি পারভেজকে প্রধান আসামি করে ছয় জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। রাতেই পুলিশ রাহিদ নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে।
বুধবার বিকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকার সাভার থেকে প্রধান আসামি পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, রবিনের বাবা মুদি দোকানি নওশাদের সঙ্গে তার বাকি খাওয়াসহ নানা কারণে বিরোধ ছিল। এর জেরে ছুরিকাঘাতে রবিনকে হত্যা করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে গ্রামের একটি দোকানের নিচ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়।
সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) বাবু কুমার সাহা জানান, বুধবার বিকালে পারভেজকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিন হাসানের আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে সে রবিনকে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।