বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় এনে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে একসঙ্গে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমিতে ধান এবং সরিষা চাষ, শাকসবজি ও ফলমূল উৎপাদন করলে মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।
শনিবার বিকালে মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অনাবাদি পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশ-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বড়লেখা পৌর শহরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বড়লেখা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দেবল সরকার।
মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সব ধরনের ভর্তুকি দিয়েই কৃষি ব্যবস্থাকে সচল রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কেননা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবহণ এবং খাদ্য প্রাপ্তির যে সমস্যা বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে, এই সমস্যা থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত রাখতে হবে। কারণ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোই বলছে বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। কাজেই আমাদের বাংলাদেশে যেন কোনো রকম খাদ্যের অভাব দেখা না দেয়, তার জন্য এখন থেকেই সবাইকে সচেতন হতে হবে। যার যতটুকু সামর্থ্য আছে, জমি আছে, সবাই সেখানে কিছু না কিছু উৎপাদন করেন।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনজিত কুমার চন্দের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা এএসএম রাশেদুজ্জামান বিন হাফিজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ, বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক নিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ, কৃষাণী মনোয়ারা বেগম, কৃষক আব্দুল খালিক প্রমুখ।
এদিকে মন্ত্রী কৃষক সমাবেশ শেষে রবি মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ৫০০ কৃষক-কৃষাণীর মাঝে বিনামূল্যে শীতকালীন বিভিন্ন জাতের সবজি বীজ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ইউআর/