পাকিস্তানের বিপক্ষে টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে অবশেষ জয় পেল ভারত। ১৬০ রানের টার্গেট তাড়ায় ৩১ রানে প্রথমসারির ৪ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ভারত।
সেই অবস্থা থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া।
প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৪৫ রান। শাদাব খানের করা ১১তম ওভারে এক বাউন্ডারিতে ৯ রান আদায় করে নেন পান্ডিয়া-কোহলি। মোহাম্মদ নওয়াজের করা ১২তম ওভারে ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে ২০ রান আদায় করে ম্যাচ নিজেদের কব্জায় নিয়ে যায় ভারত।
১৩তম ওভারে শাহিন আফ্রিদি খরচ করেন ৯ রান। পরের ওভারে শাদাব খান দেন ৭ রান। নাসিম শাহর করা ১৫তম ওভারে ১০ রান আদায় করে নেয় ভারত।
১৫ ওভারে শেষে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১০০। তার মানে ১১-১৫ এই ৫ ওভারে ভারত কোনো উইকেট না হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ৬৫ রান। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে দরকার ছিল ৬০ রান।
হারিস রউফ ১৬তম ওভারে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। নাসিম শাহর করা পরের ওভারেও ৬ রানের বেশি নিতে পারেননি কোহলি-পান্ডিয়া। শেষ ১৮ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৪৮ রান।
১৮তম ওভারে শাহিন শাহ খরচ করেন ১৭ রান। পরের ওভারে হারিস রউফ খরচ করেন ১৫ রান। শেষ ওভারে ভারতের দরকার ছিল ১৬ রান।
১২তম ওভারে ২০ রান খরচ করা সেই মোহাম্মদ নওয়াজের হাতেই শেষ ওভারে ভরসা রাখেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। ওভারের প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়াকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন পান্ডিয়া। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমে প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন দীনেশ কার্তিক। তৃতীয় বলে স্টাইক পেয়ে বিরাট কোহলি ডাবল রান নেন। পরের ৩ বলে ভারতের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান কোহলি। সেই বলটি নো কল করেন আম্পায়ার।
ইউআর/