অনিয়মে জড়িত নির্বাচনি কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তি দিতে চায় ইসি

গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের কঠোর শাস্তি দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অপরাধ অনুযায়ী চাকরি থেকে বরখাস্তসহ বিভিন্ন ধরনের সাজার সুপারিশ করবে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর ইসির এমন মনোভাবের কথা জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বক্তব্য দেওয়ার নির্দিষ্ট ফরম আছে। এর বাইরে অন্যভাবে বক্তব্য দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কেউ কাউকে এভাবে বক্তব্য দিয়ে থাকলে তদন্তে বেরিয়ে আসবে।

গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের কারণে পুরো আসনের ভোট বন্ধ করে দেয় ইসি। ওই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিগগিরই এ কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।

অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্বাচনি অনিয়ম প্রমাণ হলে সেক্ষেত্রে ইসি কী করবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এখানে সংখ্যা বিষয় নয়। বিষয়টি হলো তিনি অপরাধ করেছেন কিনা। আমাদের কাছে সব ডকুমেন্ট আছে। সব ভিডিও আছে। কিন্তু কেন করল সেটা বের করতে হবে। খুন করলেই তো ফাঁসি দেন না জজ সাহেব। এটার প্রক্রিয়া আছে তো। তাই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই সিদ্ধান্ত হবে।

তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আমরা নিজেরাই ভোটের পরিস্থিতি দেখলাম। এখন তারা স্বেচ্ছায় (অনিয়ম) করেছে নাকি চাপের মুখে করেছে এটাই দেখার বিষয়।

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, মাঠ কর্মকর্তাদের ওপর আস্থাহীনতার কারণেই সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে- বিষয়টি এমন নয়। নির্বাচন কর্মকর্তাদের টিমের সবাই তো খারাপ নন। দু-একজন খারাপ হতে পারেন। আমাদের ওপর যেমন তাদের আস্থা আছে, আমাদেরও তাদের ওপর আছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনেও তো একই ডিসি, একই এসপি, একই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানে তো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কাজেই একটা খারাপ হলে যে আরেকটা খারাপ হবে তা নয়।

এ সময় তিনি গাইবান্ধা-৫ আসনে তাদের দেখা নির্বাচনি অনিয়মেরও বিবরণ দেন।

অনেক প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রিসাইডিং কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়ার একটা নির্দিষ্ট ফরম আছে। আমাদের কাছে কোনো বক্তব্য পাঠায়নি। কার কাছে কী দিয়েছে সেটা আমরা জানি না। আইনগতভাবে এটা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্ত হলেই বেরিয়ে আসবে কে দিল, কাকে দিল। এরপর আমরা দেখব। ন্যায় করলে তো সমস্যা নেই, অন্যায় করলে তো সমস্যা হতে পারে।

ইউআর/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img