ময়মনসিংহে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশ ঘিরে জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ রুটের সব বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
শুক্রবার রাত থেকে এসব রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকাল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল শুরু হয়নি।
জানা গেছে, শনিবার দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিটিউট মাঠে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগের চার জেলা থেকে বিপুল নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সমাবেশে লোকসমাগম ঠেকাতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জামালপুর সদর বাস টার্মিনাল থেকে সব ধরনের বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ রয়েছে। নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিতে বেছে নিয়েছেন নৌপথ।
এদিকে, সমাবেশ ঘিরে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকার প্রতিবাদে সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জামালপুর জেলা ছাত্রদল।
তবে জামালপুর পরিবহন মালিক সমিতির দাবি, সমাবেশকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর হয় বলে চালকরা রাস্তায় গাড়ি নামাননি।
জামালপুর বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, ‘আমাদেরকে বাস বন্ধের নির্দেশ দেয়নি কেউ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের শঙ্কায় রাস্তায় গাড়ি নামাননি চালকরা। এমনকি মারধরের ভয়ে সমাবেশে গাড়ি নিয়ে যেতে রাজি হননি তারা।’
জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ও ভোকেশনাল মোড়ে কোনও বাস নেই
সরেজমিনে দেখা গেছে, জামালপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ও ভোকেশনাল মোড়ে কোনও বাস নেই। বাসস্ট্যান্ড ফাঁকা। একই চিত্র দেখা গেছে বাইপাস বাসস্ট্যান্ডে। শহরের ভোকেশনাল মোড় থেকে ময়মনসিংহ রুটে সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে, সেখানেও অটোরিকশা দেখা যায়নি।
বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন দূরপাল্লার যাত্রীরা। অনেক যাত্রী বাসস্ট্যান্ডে এসে বাড়ি ফিরে গেছেন।
মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমি ঢাকায় যাবো বলে মেলান্দহ থেকে এসেছি। কিন্তু জামালপুরে বাস টার্মিনালে কোনও পাইনি। রবিবার অফিস করতে হবে। সমস্যায় পড়ে গেছি।’
জামালপুর পৌরসভার মুকুন্দবাড়ী এলাকার দীপালি রানী পাল বলেন, ‘আমাকে জরুরি কাজে আজই ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু কীভাবে যাবো বুঝতে পারছি না। বাস ও অটোরিকশা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছি।’
জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবির শামীম বলেন, ‘বিভাগীয় সমাবেশে মানুষের স্রোত ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবে গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাদের চাপে বাস মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
ইউআর/