তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘বিপজ্জনক সংকেত’ দিচ্ছে বলে জানিয়েছে চীন।
শুক্রবার তাইওয়ানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের পরেই চীন থেকে এ মন্তব্য করা হলো। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানায়, শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে ৯০ মিনিটের সরাসরি বৈঠক হয়েছে। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি কথা হয় তাইওয়ান ইস্যুতে।
মার্কিন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের দিক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সব কিছু পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন। আমাদের এক-চীন নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
তাইওয়ান প্রণালিজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনা শেষে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে খুবই ভুল ও বিপজ্জনক সংকেত পাঠাচ্ছিল। তাইওয়ানের স্বাধীনতার তৎপরতা যত বেশি হবে, শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনা তত কমবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াংয়ের বরাতে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, তাইওয়ান ইস্যু চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর কোনো সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের কোনো অধিকার নেই।
চলতি বছরের আগস্টে তাইওয়ান সফর করেন মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এর পর থেকেই প্রণালিটি নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পেলোসির সফরের পরেই প্রণালিটিতে বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় চীন। ঠিক সেই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাইওয়ানে গণতান্ত্রিক সরকারকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন।
এদিকে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যু ছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে চীনের বস্তুগত সহায়তা কিংবা তাদের নিষেধাজ্ঞা ফাঁকিতে বেইজিং জড়িত রয়েছে কিনা তা নিয়ে কথা হয়েছে। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, তারা চীনের এ ধরনের সহায়তা দেওয়ার কোনো প্রমাণ পাননি।
তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া একটা প্রদেশ হিসেবে দেখে চীন। তারা চায় দ্বীপটি আবার বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আসুক। তবে তাইওয়ান মনে করে তারা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদের নিজস্ব সংবিধান রয়েছে এবং রয়েছে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ।
ব্লিঙ্কেন ও ওয়াংয়ের মধ্যকার বৈঠক নিয়ে তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চীনের সাম্প্রতিক উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড তাইওয়ান প্রণালিকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুক্তি ও সমালোচনা দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে, যা বাস্তবতার বিপরীত।’
ইউআর/