বাংলাদেশের সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপের বিষয়টি নিয়ে মিয়ানমারকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে পড়েছে অ্যাশস্ট্রে। হঠাৎ করে চলে এসেছে। এ নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি, জিজ্ঞাসা করেছি। তারা আগামীতে আরও সতর্ক হবেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি ভারত সফরে যাবেন। এ ব্যাপারে সব সময় আমরা একটা ইভেন্ট করি। আমরা আপনাদের জানাব।’
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্মৃতিচারণা করে মোমেন বলেন, ‘উনি বাংলাদেশের বন্ধু; জাপানের দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের সঙ্গে ওনার সম্পর্কটা গভীর ছিল। ওনার সরকারের সময় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিন-তিনবার রাষ্ট্রীয় সফরে গেছেন। উনিও আমাদের দেশে এসেছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে জাপান আর বাংলাদেশের অংশীদারত্ব জোরদার হয়। আজকে এখানে মেট্রোরেল দেখছেন; জাপানের সহায়তায় সম্ভব হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান, তখন শিনজো আবের সঙ্গে আলোচনা করে একটি বড় রকমের অনুদান নিয়ে আসেন; প্রায় ছয় বিলিয়ন ডলার। আমরা ওনার বন্ধু। ওনার বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেছি। বন্ধুভাবাপন্ন বৈশ্বিক নেতা ছিলেন।’
এর আগে শোক সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শিনজো আবের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তিনি শুধু জাপানের জনপ্রিয় নেতাই নন, বরং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে এক নির্ভরশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফর এবং শিনজো আবের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে বিরাজমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানের সহযোগিতায় চলমান কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীরা উপকৃত হচ্ছে বলে উপাচার্য উল্লেখ করেন।
ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে দুদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এই শোকসভা আয়োজন করায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ এবং ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শোকসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান।
ইউআর/