চলমান বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। এমনকি জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক বাড়ানো নিয়েও কোনো কথা হয়নি। কেবলমাত্র একটি বিল নিয়ে আলোচনা এবং এটি চূড়ান্ত করার মধ্য দিয়েই সভা শেষ করল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলার জন্য নতুন আইন প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ‘বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজসম্পদ করপোরেশন বিল-২০২২’ চূড়ান্ত করে এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
জাতীয় সংসদের আগামী আসন্ন অধিবেশনে ওই বিলের ওপর প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংসদীয় কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খান।
বৈঠকে কমিটি সদস্য মো. আবু জাহির, মো. আলী আজগার, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর ও নার্গিস রহমান উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, নতুন আইন প্রণয়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গত ৫ জুন জাতীয় সংসদে ওই বিলটি উত্থাপন করেন। বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে পেট্রোবাংলার অনুমোদিত মূলধন বাড়ানো হয়েছে। আগে এর পরিমাণ ছিল ২০০ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত আইনে তা বাড়িয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। আর পরিশোধিত মূলধন করা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। এই করপোরেশন তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি, বিপণন, রপ্তানি ও ব্যবস্থাপনা করবে। করপোরেশনের চেয়ারম্যানসহ ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ থাকবে বলে বিলে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ অয়েল অ্যান্ড গ্যাস করপোরেশন (বিওজিসি) ও বাংলাদেশ মিনারেল এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনকে (বিএমইডিসি) একীভূত করে বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশন (বিওজিএমসি) গঠন করা হয়। ১৯৮৯ সালে করপোরেশনকে ‘পেট্রোবাংলা’ নামে সংক্ষিপ্তভাবে নামকরণ করা হয়। নতুন খসড়া আইনে ‘পেট্রোবাংলা’ নামটি রাখা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির একজন সদস্য যুগান্তরকে জানান, তারা এ বৈঠকে বিল চূড়ান্ত করা ছাড়া আর কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেননি। চলমান বিদ্যুৎ সংকট এবং জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়নি এ সভায়। কমিটির সদস্যদের কেউ এ প্রসঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনাও উত্থাপন করেননি বৈঠকে।
ইউআর/