ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর শুক্রবার হামলা হয়। এদিন তাকে একটি অনুষ্ঠানে ছুরিকাঘাত করা হয়।
১৯৮৮ সালে সাটানিক ভার্সেস নামে একটি বই লেখার পরের বছর ১৯৮৯ সালে সালমান রুশদির ওপর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি।
রুশদির ওপর হামলার পর অভিযোগের তীর গেছে ইরানের দিকে। বলা হচ্ছে, ইরানের মদদে এ হামলা হয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে একেবারেই চুপ ছিল ইরান। অবশেষে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসির কানানি বলেছেন, ইরান এর সঙ্গে জড়িত না। তিনি উল্টো দায় চাপিয়েছেন রুশদির ওপরই।
মুখপাত্র নাসির কানানি বলেছেন, রুশদি ও তার সমর্থকরা ইসলাম নিয়ে ব্যাঙ্গ করে তাদের ওপর হামলার ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
এ ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ইরান এমন দাবি প্রত্যাখান করছে। ইরানের ওপর দায় চাপানোর অধিকার কারও নেই।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা মনে করি রুশদি এবং তার সমর্থক ছাড়া আর কেউ এর জন্য দায়ী না। ইসলামের পবিত্র বিষয় নিয়ে ব্যাঙ্গ করে বিশ্বব্যাপী ১.৫ বিলিয়ন মুসলিমের রেড লাইন পার করেছেন রুশদি।
তিনি আরও বলেছেন, সালমান রুশদি সাধারণ মানুষের হুমকি এবং ক্রোধে নিজেকে ফেলেছেন।
ইউআর/