মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ ও মাহেদি হাসানের মতো চারজন বিশেষজ্ঞ বোলার থাকতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনীতে বোলিংয়ে নিয়ে আসা হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
যার আসল কাজ ব্যাটিং, সেই মোসাদ্দেকের হাতেই ইনিংসের প্রথমে বল তুলে দেন জাতীয় দলের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
নুরুল হাসানের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে প্রথম বলেই রেজিস চাকাভাকে ফেরান মোসাদ্দেক। প্রথম ওভারে তিনি উইকেট নেন আরও একটি, ষষ্ঠ বলে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন ওয়েসলি মাধেভেরেকে।
পরের তিন ওভারে একটি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক। নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে তুলে নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিনকে। এরপর ফেরান শন উইলিয়ামস ও মিল্টন শুম্বাকে।
৬.৫ ওভারে দলীয় ৩১ রানে জিম্বাবুয়ের ৫ উইকেটে তুলে নিতে মোসাদ্দেক খরচ করেন ২০ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই এটা তার সেরা বোলিং। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে এটা দ্বিতীয় সেরা বোলিং।
তবে একটা ক্ষেত্রে মোসাদ্দেকই প্রথম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে বাংলাদেশের কোনো বোলার প্রতিপক্ষের প্রথম পাঁচ উইকেট নিতে পারেননি।
এই প্রথম প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের উইকেট নিলেন কোনো বাংলাদেশি বোলার।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ইলিয়াস সানির। বাঁহাতি এই স্পিনার ১৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২০১২ সালে, বেলফাস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
মোসাদ্দেকের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার সাকিব আল হাসানের। ২০১৮ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
এই তিনজন ছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট পেয়েছেন বাংলাদেশের আর একজন বোলার- তিনি মোস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসার ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কলকাতায় ২২ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট।
২০১৬ সালের জানুয়ারিতে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় মোসাদ্দেকের। সেই ম্যাচে ২ ওভার বল করে ১০ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। আজ খেলছেন ২০তম ম্যাচ। আগের ১৯ ম্যাচে মাত্র ৭ উইকেট শিকার করেন মোসাদ্দেক।
ইউআর/