সরকারি সফর শেষে রোববার সকালে পর্তুগাল থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি লাগেজ বেল্ট এরিয়াতে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের অভিযোগ শোনেন। এ সময় মন্ত্রী ডিসপ্লে স্ক্রিনে নির্দিষ্ট লাগেজ বেল্টের পাশে লাগেজের জন্য প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষমান যাত্রীদের দুর্ভোগের সত্যতাও দেখতে পান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাৎক্ষণিক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
জানা গেছে, মন্ত্রী প্রথমেই বিমানবন্দর ব্যবস্থাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাৎক্ষণিক বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক সেখানে আসেন এবং লাগেজ আসতে দেরি হওয়ার বিষয়টি দ্রুত সমাধান করবেন বলে মন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।
এ সময় ড. মোমেন সম্প্রতি ইউরোপের কয়েকয়টি দেশে সফরকালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন অভিযোগের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রবাসীরা বিদেশে অনেক কষ্ট করেন এবং তাদের পাঠানো কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করছে।তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য বিমানযাত্রীরা বিমানবন্দরে লাগেজ সংগ্রহের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকেন, যা যাত্রীদের জন্য এটা অত্যন্ত দুর্ভোগের।’
এর জন্য আমাদের অব্যবস্থাপনাই দায়ী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কন্সুলার সেবাসহ অন্যান্য সেবার মান উন্নয়নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপের ফলে প্রবাসীরা এগুলোর সুফল পেতে শুরু করেছেন। তবে একইসাথে বিমানবন্দরে প্রবাসীদের দুর্ভোগ কমাতেও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
উপস্থিত যাত্রীদের আশ্বস্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই পদক্ষেপ নেবে।’
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোবাইল ফোনে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানান। বিমান প্রতিমন্ত্রী যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে এবং সেবার মান বাড়ানোর বিষয়ে ড. মোমেনকে আশ্বস্ত করেন।
ইউআর/