ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আজ এবং আগামীকাল আমরা মাইকিং করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে। বুধবার থেকে আমি নিজে মার্কেটে যাব। যদি দেখি তারা মাস্ক ব্যবহার করছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তাহলে সেই দোকান খোলা থাকবে। ব্যতিক্রম হলে আমরা সেই দোকান বন্ধ করে দেব। আমি আগে বলব না কোন এলাকায় যাব।
সোমবার (৩ মে) মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা দোকানদাররা কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অঙ্গীকার দিয়ে দোকান খুলেছেন, আপনার প্রতিষ্ঠানে নিজেরা এবং ক্রেতাদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনাদেরই। তাই এই বিষয়টি আপনারাই নিশ্চিত করুন। অন্যথায় বুধবার থেকে আমি নিজে মার্কেট পরিদর্শন করব এবং যারা মাস্ক পরিধান না করে থাকবেন তাদের দোকান বন্ধ করে দেব। আপনারা ব্যবসা করুন কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি, মাস্ক পরার নির্দেশ মানতে হবে।
এর আগে মেয়র আতিকুল ইসলামের সৌজন্যে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে রোগীর সেবা নিশ্চিত করতে দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহম্মাদ খুরশীদ আলম, হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, এক হাজার শয্যার মধ্যে ২৫০টি শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু করে হাসপাতালটি। রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসির পাইকারি কাঁচাবাজারের ভবনে স্থাপন করা এক হাজার বেডের এই হাসপাতালের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল’। গত ১৮ এপ্রিল হাসপাতালটি উদ্বোধন করা হয়।
হাসপাতালটিতে ২১২ শয্যার আইসিইউ (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) রয়েছে। এছাড়া ২৫০ শয্যার এইচডিইউ (উচ্চ নির্ভরতা ইউনিট), ৫০ বেডের জরুরি বিভাগ (৩০টি পুরুষ, ২০ নারী) ও ৫৪০ (সিঙ্গেল) রুমের আইসোলেশন ব্যবস্থা রয়েছে। এই রুমগুলো অনেকটা কেবিনের মতো। দ্রুতই বেডের সংখ্যা আরও বাড়বে।