রাজশাহীতে রাতের বেলায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এসে বিয়ের অস্বীকৃতি জানানোয় যুবককে শ্বাসরোধে হত্যা ও মরদেহ গুমের অভিযোগে গৃহকর্মী ও তার বান্ধবীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ জুন) সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর সায়েরগাছার বুলবুল আহমেদের বাড়ি থেকে আসামি মেরিনাকে আটক করা হয়। এরপর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আসামির দেওয়া তথ্যে অপর আসামিকে আটক ও মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় কাশিয়াডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিরা হলেন- রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার সায়েরগাছার মো. একরামুল ইসলাম ভাদুর মেয়ে মেরিনা খাতুন (২১) ও তার বান্ধবী একই এলাকার ঈশা হকের মেয়ে নেশা খাতুন (২২)।
নিহত যুবকের নাম রশিদুল মন্ডল (২৫)। তিনি নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার পয়লান গ্রামের জহির মন্ডলের ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রফিকুল আলম জানান, রশিদুল মন্ডল মাঝে মাঝে ধান কাটাসহ অন্যান্য কাজের জন্য রাজশাহীতে আসতো। এই সুবাদে প্রায় এক বছর আগে আসামি মেরিনা খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তরুণী সায়েরগাছার বুলবুল আহমেদের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতো।
তিনি আরও জানান, ১৪ জুন রাতের রশিদুল সায়েরগাছার বুলবুলের বাড়িতে মেরিনার সঙ্গে দেখা করতে যায়। সেখানে কথাবার্তার একপর্যায়ে রশিদুলকে বিয়ের কথা বলে। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরে জানাবে বলে জানায় যুবক। কিন্তু ওই গৃহকর্মী রাতেই বিয়ে করার জন্য চাপ দেয় ও জোর জবরদস্তি করতে থাকে। রাত ১১টায় যুবক সেখান থেকে চলে যেতে চাইলে বাধা দেয় প্রেমিকা। এই নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে মেরিনা ধাক্কা দিয়ে রশিদুলকে ফেলে শ্বাসরোধে হত্যা করে। বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে ওঠার আগেই পরদিন সকাল ৭টায় নেশা খাতুনকে ডেকে দুজনে লাশ বাড়ির ছাদের স্টোর রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মৃত্যুর ১২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে।
ইউআর/