মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গণতন্ত্রপন্থী দুই বিশিষ্ট অ্যাক্টিভিস্টসহ চার জনের আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। দেশটির জান্তা সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের পর এই প্রথমবারের মতো দেশটিতে ফাঁসি কার্যকরের পথ তৈরি হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের সন্ত্রাসবাদের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিদের একজন অং সান সু চির দলের সাবেক সদস্য। অন্যজন গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের পরিচিত মুখ।
জাও মিন তুন বলেন, সাবেক এমপি ফিয়ো জেয়া থাও এবং গণতন্ত্রকামী সক্রিয়কর্মী কো জিমিসহ চারজনকে কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসি দেওয়া হবে।
গত বছর ক্ষমতা দখলের পর ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অংশ হিসেবে জান্তা সরকার অভ্যুত্থানবিরোধী কয়েক ডজন কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে। তবে দেশটিতে গত দশক ধরে কোনও মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি।
অং সান সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির সাবেক সদস্য ফিয়ো জেয়া থাওকে গত নভেম্বরে গ্রেফতার করা হয়। সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনের অধীনে তাকে জানুয়ারি মাসে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
বিশিষ্ট গণতন্ত্রকামী সক্রিয়কর্মী কিয়াও মিন ইউ যিনি ‘জিমি’ নামে বেশি পরিচিত- সামরিক ট্রাইবুনাল তাকেও একই শাস্তি দিয়েছে। তবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উপ-পরিচালক ফিল রবার্টসন বলেন, ‘দুই জন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার জন্য জান্তা সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশটির প্রগতিশীল জান্তাবিরোধী প্রতিরোধের আগুনে গ্যাস ঢালার মতো কাজ হবে।’
ইউআর/