ফরিদপুরে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩০ জন আহত

ফরিদপুরের সালথায় রাস্তা কাটা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সালথার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কামাল হোসেন দুই জনের বাড়িই নওপাড়া গ্রামে। তারা গ্রাম্য দলে একে অপরের প্রতিপক্ষ। এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধও চলছে। কয়েক মাস আগে নওপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা কাটার উদ্যোগ নেন কামাল। কিন্তু গিয়াসের সমর্থকরা তাদের জমির ওপর দিয়ে ওই রাস্তা কাটতে বাধা দেন। একপর্যায়ে রাস্তা কাটা বন্ধ হয়ে যায়।

এই নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। চলমান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার সন্ধ্যায় দুই গ্রুপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে উভয় পক্ষের নেতারা একে অপরের উপর দোষ চাপিয়ে বক্তব্য দেন।

এই বিষয়ে গিয়াস উদ্দীন দাবি করেন, ‘গ্রামে রাস্তা কাটা নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের সঙ্গে আমার লোকজনের বিরোধ চলছিল। বুধবার বিকালে কামালের সমর্থকরা বাড়িতে এসে আমার সমর্থক ইলিয়াস শেখকে মারধর করে আহত করে। পরে আমার সমর্থকরা প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে ইলিয়াস শেখ, শহিদুল শেখ, মেহেদী শেখ, ইব্রাহিম মোল্লা, নাসির মোল্লা, রিপন মাতবর ও আমিনুর মাতবরসহ আমার কমপক্ষে ১৫ সমর্থক আহত হয়।’

কামাল হোসেন দাবি করেন, ‘রাস্তা কাটাসহ গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আমাদের অনেক দিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার বিকালে আমার সমর্থক আহাদ মাতবর, হেমায়েত মাতবর, ইউসুফ মোল্লা ও দেলোয়ার মোল্লা স্থানীয় কাগদী বাজার থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করে ফেরার পথে গিয়াসের বাড়ির সামনে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা রড ও হাতুড়ি দিয়ে আমার সমর্থকদের পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এ নিয়ে পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আমার কমপক্ষে ১৫ সমর্থক আহত হয়েছে।’

ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকার পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।’

ইউআর/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img