এ বছরই পদ্মাসেতুর শেষ দেখতে চান অর্থমন্ত্রী

চলতি বছরই পদ্মাসেতুর শেষ দেখতে চান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এ বছরের শেষের দিকে পদ্মাসেতু চালু হবে।

আমরাও প্রত্যাশা করে আছি এ বছরের শেষ নাগাদ এটি চালু করতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (০৭ এপ্রিল) বিকেলে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চ্যুয়ালি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পদ্মা সেতু চালু হতে বিলম্ব হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাশা করেছিলাম মার্চ মাসে আসবে, সেটি মার্চ মাসে এলো না। সেখানে এটা আমার মনে হয় অনেক লম্বা সময় লাগবে না।

তারপরেও অস্বাভাবিক সময়ের মাঝ দিয়ে পৃথিবী এখন চলমান। যে যুদ্ধ চলছে তার কারণে কেউই ইফেকটিভলি কোনো কিছু এখন প্রজেকশন করতে পারে না। কমিটমেন্ট করার অবস্থাও নাই। তবুও আমরা আশায় আছি। এ বছরেই আমরা এটির শেষ দেখতে চাই।
পদ্মা সেতুর টোল নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, টোল আদায় হবে এটা জানি। কিন্তু টোলের পরিমাণ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আমরা একটা কথা সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই। পদ্মা সেতুতে আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি, সেটা পূর্ণমাত্রায় টোলবাবদ আদায় করবো। আমরা অন্যান্য প্রোজেক্টগুলো থেকেও কিন্তু টোল আদায় করছি, এখান (পদ্মাসেতু) থেকেও টোল আদায় হবে।

শুধু টোল আদায় হবে না, আমরা প্রফিটও করবো জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, এ প্রজেক্টের জন্য আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি তারচেয়েও বেশি আমরা অর্জন করবো। সারাবিশ্বেও তাই করে। সারাবিশ্বে এ ধরনের প্রকল্পগুলো টোলভিত্তিকই করা হয়। টোলের হার এখনও ঠিক হয়নি। হলে আপনারা (গণমাধ্যম) জানতে পারবেন।

তিনি বলেন, আমরা বলতে পারি যে পরিমাণ টাকা এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে এবং শেষ দিন পর্যন্ত যে খরচ হবে সেটি আমাদের টোল থেকেই আদায় করতে হবে। নাহলে আগানো যাবে না, কারণ এগুলো আমাদের মেইনটেইন করতে হবে। আমাদের একটা প্রকল্প থেকে আরেকটা প্রকল্প করতে হবে। একটা ব্রিজ থেকে আরেকটা ব্রিজ করতে হবে। সুতরাং এগুলো করার জন্য রেভিনিউ দরকার হবে। তবে সবার জন্য লাভজনক অবস্থায় থাকবে। যারা ব্যবহার করবেন তারাও লাভজনক অবস্থায় থাকবে, সরকারও থাকবে।

কত বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর ব্যয় তুলতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা ডিটেইলে এখনও এটি নিয়ে কাজ করিনি। আমরা টোলের মাধ্যমেই আমাদের খরচ তুলে নিয়ে আসবো। সেখান থেকে কিছু লাভও করতে চাই। সেই লাভটা সরকারের ফান্ডে না নিয়ে আরো নতুন প্রকল্প দাঁড় করানোর চেষ্টা করবো।

ইউআর/

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img