ডাবরবান টেস্টের প্রথম ইনিংসে যেখানে বাকি ব্যাটররা আসা-যাওয়া করছিলেন। সেখানে তুমুল প্রতিরোধ গড়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতেই স্কোরটা পৌঁছায় তিনশোর কাছাকাছি। যা আবার দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনও বাংলাদেশির প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিও।
তার অসাধারণ এই নৈপুণ্যের পুরস্কার মিললো টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে। বাংলাদেশ এই টেস্টে বড় ব্যবধানে হারলেও ব্যাটারদের তালিকায় বড় লাফ দিয়েছেন এই ওপেনার।ব্যক্তিগত অর্জনে র্যাঙ্কিংয়ে একশতে প্রবেশ করেছেন। ৩৭ ধাপ এগিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ৬৬ নম্বরে।
প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার ৩৬৭ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ লড়াই করেছিল জয়ের ব্যাটেই। স্কোরটা ২৯৮ রান হতে পেরেছে তার টেস্ট মেজাজে খেলা ১৩৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসের কারণেেই। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য সেই ঝলকটা ছিল না। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশকে গুটিয়ে যেতে হয়েছে ৫৩ রানে। তাতে ২২০ রানে বড় ব্যবধানে হার দেখেছে সফরকারী দল। জয় এই ইনিংসে করতে পারেন মাত্র ৪ রান।
প্রথম টেস্টের পর র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজেরও। এক ইনিংসে ৯৪ রানে ও আরেক ইনিংসে ৮৫ রানে সমান তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন এই অফস্পিনার। তাতে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৪ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে রয়েছেন ৩১ নম্বরে। তার মতো একই অবস্থানে রয়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওকসও।
উন্নতি দেখেছেন স্বাগতিক দলের খেলোয়াড়রাও। প্রথম টেস্ট জেতাতে বলে অসামান্য অবদান রাখা বামহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ ২ ধাপ এগিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ২৮ নম্বরে। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৩২ রানে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ গুড়িয়ে দিয়েছেন তিনিই। এছাড়া দুই ইনিংসে ৬৭ ও ৬৪ রান করা প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগারও ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন। তিন ধাপ এগিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ১৩তম স্থানে।
ইউআর/