সদ্য শেষ হওয়া নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম আসরে পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলকেও চাপে রেখেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। প্রথম বিশ্বকাপে দলীয় সাফল্যের সঙ্গে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সাফল্যও ছিল চোখে পড়ার মতো। যার পুরস্কার হিসেবে অলরাউন্ডার সালমা খাতুন বিশ্বকাপের সেরা একাদশে সুযোগ পেয়েছেন।
২০১১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথ চলা শুরু সালমা খাতুনের। নারী ক্রিকেট যাদের হাত ধরে উঠে এসেছে, তাদের অন্যতম সালমা। বিশ্বকাপে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করে নিয়মিত সফল হয়েছেন। ৭ ম্যাচে এই স্পিনারের শিকার ছিল ১০ উইকেট। ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৩.৭৯। বিশ্বকাপে ২০ ওভারের বেশি বোলিং করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার তিনিই।
সালমা অলরাউন্ডার হলেও তার বোলিং পারফরম্যান্সই তাকে আইসিসির সেরা একাদশে সুযোগ পাইয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল থেকে অধিনায়কসহ রয়েছেন চার জন। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিন জন, ইংল্যান্ড থেকে দুজন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বাংলাদেশ থেকে একজন করে একাদশে সুযোগ পেয়েছেন।
বিশ্বকাপের সেরা একাদশ: মেগ ল্যানিং (অধিনায়ক, অস্ট্রেলিয়া), অ্যালিসা হিলি (অস্ট্রেলিয়া), র্যাচেল হেইন্স (অস্ট্রেলিয়া), বেথ মুনি (অস্ট্রেলিয়া), ন্যাট সিভার (ইংল্যান্ড), সোফি এক্লেস্টোন (ইংল্যান্ড), হেইলি ম্যাথিউজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মারিজান ক্যাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা), লরা উলভার্ট (দক্ষিণ আফ্রিকা), শাবনিম ইসমাইল (দক্ষিণ আফ্রিকা), সালমা খাতুন (বাংলাদেশ)।
ইউআর/