দুঃসময়ে আওয়ামী লীগে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের মনে রাখতে হবে, দুঃসময়ের ত্যাগী কর্মীদের কোণঠাসা করে সুসময়ের বসন্তের কোকিলদের নেতৃত্ব দিলে সংগঠন চলবে না। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতারাই হচ্ছেন আওয়ামী লীগের মূলশক্তি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনাও দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হলে দুঃসময়ের কর্মীদের বাঁচাতে হবে। দুঃসময়ের কর্মীদের উপেক্ষা করলে আওয়ামী লীগ টিকতে পারবে না। নেতৃত্ব নির্বাচনের সময় কে কাকে পছন্দ করে, কার মুখ চেনা— এসব দেখলে চলবে না। ত্যাগী নেতাকর্মীরা যত দিন নেতৃত্বে থাকবে, ততদিন কোনো রাজনৈতিক শক্তিই আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশে আন্দোলন-সংগ্রাম করে ১৩ বছর একাধারে ক্ষমতায় আছে। এই ১৩ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প আজ প্রশংসিত। বিশ্বের নামিদামি দেশগুলো আজকে শেখ হাসিনার সততার, তার পরিশ্রমের ও সাহসী নেতৃত্বের প্রশংসা করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এই উন্নয়ন সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে যাবে।
এর আগে আনুষ্ঠানিক সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্যরা।
২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে আব্দুল মালেককে সভাপতি ও সাধন চন্দ্র মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রায় দুই বছর পর ২০১৬ সালে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দেয় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।