বেনাপোল বন্দরে বোমা হামলায় ৩ মামলা, গ্রেফতার ৮

বেনাপোল বন্দর দখল নিতে বহিরাগত দুর্বৃত্তদের বোমা হামলার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানায় করা এসব মামলায় ৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার সকালে একদল দুর্বৃত্ত বন্দরের হ্যান্ডেলিং কার্যক্রম দখলে নিতে শ্রমিক সংগঠনের অফিসের সামনে বোমা হামলা শুরু করে।

এতে এক পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন শ্রমিক আহত হন। এ সময় আতঙ্কে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বোমা, পিস্তল ও গুলি।

এদিকে পুলিশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বন্দর শ্রমিকরা আজ সকাল থেকে কাজে যোগদান করেছেন। বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।

বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান অহিদ জানান, বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড ও পণ্য খালাস চলছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পৌর কাউন্সিলর রাশেদ বাহিনীর প্রধান রাশেদ বন্দর দখল করার জন্য ভারাটে গুণ্ডা এনে বন্দরে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এজন্য সোমবার সারাদিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল।

বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর আ. জলিল জানান, বন্দরে বর্তমানে আড়াই হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। বন্দরকে অশান্ত করতে রাশেদ বাহিনী বোমা হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, বোমা হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় কাউন্সিলর রাশেদকে প্রধান আসামি করে থানায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করে তিনটি মামলা হয়েছে। এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তিনি জানান, রাশেদের ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার থেকে চারটি বোমা, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিনসহ পাঁচ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া নতুন করে যে কোনো ধরনের ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img