মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও জান্তাবিরোধীদের সংঘর্ষে আরো ২৫ সেনা নিহত হয়েছেন। সাগাইং অঞ্চলে এ নিয়ে তিনদিনে ৮৫ সেনা সদস্য নিহত হয়েছে বলে দাবি জান্তাবিরোধীদের।
এদিকে, সরকারবিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী। চিন প্রদেশের থান্তলাং শহর গুঁড়িয়ে দিয়েছে তারা। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে কয়েকশো বাড়িঘর।
মিয়ানমারে গত পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশজুড়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে। জান্তাবিরোধীদের প্রতিহত করতে একের পর এক গ্রাম গুড়িয়ে দিচ্ছে সামরিক সরকার।
সবশেষ চীন প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় থান্তলাং শহরে ব্যাপক দমন-পীড়ন চালিয়েছে সেনা সদস্যরা। অঞ্চলটির জান্তাবিরোধীদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি গোলা দিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা সদস্যরা।
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, মিয়ানমার সেনাদের হামলায় শহরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের অফিসও ধ্বংস হয়ে গেছে। সেনা বাহিনীর হামলার জেরে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা।
এরইমধ্যে সবশেষ গেল মাসেই ১০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের ভিটে মাটি ছেড়ে পালিয়েছেন।তবে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জান্তাবিরোধীরা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যমগুলো।
সাগাইং অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তুমুল লড়াই অব্যাহত রয়েছে। সবশেষ বৃহস্পতিবারও বেসামরিক প্রতিরোধ গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ২৫ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে একজন মেজরও রয়েছেন। এ নিয়ে তিনদিনেই অঞ্চলটিতে ৮৫ জনের বেশি সেনা সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে স্থানীয় প্রতিরোধবাহিনী।
বৃহস্পতিবার সকালে কাওলিন শহরের সেনাবাহিনীরা এসে নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করলেও তা প্রতিহত করা হয় বলে দাবি পিপলস ডিফেন্স ফোর্স পিডিএফের।
বর্তমানে পুরো অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ তাদের দখলে বলেও জানানো হয়। মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই অঞ্চলটিতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে আসছে জান্তাবিরোধীরা। এর আগে গেল জুলাইতেও অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টার সময় প্রতিরোধ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪৪ সেনা নিহত হন।