জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীর ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রত্যাশার বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন, কপ-২৬’র আসর বসবে যুক্তরাজ্যের শহর গ্লাসগোতে। গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গতকারী দেশের নেতাদের কাছে বড় দাবি থাকছে প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরন শূন্যে নামিয়ে আনা। থাকছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুত জলবায়ু তহবিলের বাস্তবায়নেরও।
ঝুঁকির মুখে থাকা ৪৮টি দেশের সংগঠন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ’র বর্তমান সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা ছাড়বেন রোববার (৩১ অক্টোবর) সকালে।
দু’দিনের কপ-২৬’র শীর্ষ বৈঠকে সোমবার (১ নভেম্বর) ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষতিগ্রস্ত দেশের জনগণের অবস্থার চিত্র উঠে আসবে শেখ হাসিনার বক্তৃতায়।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জানান, মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) উইমেন অ্যান্ড কাইমেট সভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ, অভিযোজন ও অর্থায়নকে আহ্বান জানিয়ে আসতে পারে ঢাকা-গ্লাসগো ঘোষণাও। এর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পৃথক বৈঠক করবেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের সঙ্গে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুধবার (৩ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে লন্ডনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এখানে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেনের প্রিন্স অফ ওয়েলস এবং প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।
এরপর ৯ নভেম্বর ফ্রান্সে সফর করবেন শেখ হাসিনা। এখানে দেশটির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তার। এছাড়া, ফ্রান্সের শীর্ষ ফরাসি ব্যবসা সংগঠনেরও বাণিজ্যিক আলোচনা অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একে আব্দুল মোমেন জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার নামে আন্তর্জাতিক পুরস্কার ‘ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্টারন্যাশনাল প্রাইজ ফর দ্য ক্রিয়েটিভ ইকোনোমি’ দেওয়া হবে ১১ নভেম্বর প্যারিসে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়ার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
এছাড়া, ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৭৫তম বার্ষিকী উদযাপনের একটি উচ্চ পর্যায়ের সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।