সাকিবের ব্যাট ছুঁয়ে এলো কলকাতার জয়

জিতলে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত নয়। তবে হারলে ছিটকে যেতে হবে টুর্নামেন্ট থেকে। এমন সমীকরণ নিয়ে আইপিএলে সোমবার রাতে শারজায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে রয়াল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্স।

শুরুতে হাতে বল নিয়ে বিরাট কোহলিদের ইনিংস একাই ধসিয়ে দেন কেকেআরের ক্যারিবীয় স্পিনার সুনীল নারিন।

৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে শিকার করেন চারটি উইকেট। নারিনের এই বোলিং নৈপুণ্যে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানের লো স্কোরিং টার্গেট ছুড়ে দিতে পারে ব্যাঙ্গালুরু।

আর ব্যাট হাতে নেমে ব্যাঙ্গালুরুর মামুলী টার্গেট ২ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে গেছে কলকাতা।

৪ উইকেটে ব্যাঙ্গালুরুকে হারাল কেকেআর।এ জয়ে কলকাতা চলে গেছে আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে। সেখানে অপেক্ষায় দিল্লি ক্যাপিটালস।

আর হেরে বিদায় নিয়ে শেষ হলো কোহলির আইপিএল অধিনায়কত্বের অধ্যায়।

ম্যাচে জয়সূচক রানটি এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট ছুঁয়ে।

ড্যানিয়েল ক্রিশ্চিয়ান ও ম্যাচের শেষ ওভারের চতুর্থ বলটি ঠুকে দিয়ে অধিনায়ক মরগানের সঙ্গে দৌড়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যান সাকিব।

শেষ ওভার প্রয়োজন ছিল ৭ রানের। আর ওভারের প্রথম বলটিই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় অনেকটা নিশ্চিত করেন সাকিব।

৫ বলে দরকার পড়ে ৩ রানের। পর পর দুই বলে দুটি সিঙ্গেলস আসলে স্কোর লেভেল হয়। ৪র্থ বলে আরো একটি সিঙ্গেল নিয়ে ম্যাচ জেতান বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।

বেশি বল খেলার সুযোগ পাননি সাকিব। ৬ বলে খেলে অপরাজিত ৯ রান করেছেন। অধিনায়ক মরগান অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে।

টপঅর্ডারের সবাই ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ওপেনার শুবমান গিল ১৮ বলে ২৯ এবং ওপেনার ভেঙ্কটশ আইয়ার ৩০ বলে ২৬ রান করেন।

ব্যাটিংও দুর্দান্ত খেলেছেন সুনীল নারিন। মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৫ বলে ২৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন। তার সঙ্গী হয়ে নিতিশ রানা ২৫ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।

ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে মোহাম্মদ সিরাজ, হার্শেল পাটেল ও যুজবেন্দ্র চাহাল প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে নারিনের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন ব্যাঙ্গালুরুর ব্যাটাররা।

নিজের প্রথম ওভারে ভরতের, দ্বিতীয় ওভারে অধিনায়ক কোহলির, তৃতীয় ওভারে প্রোটিয়া তারকা এবিডি ভিলিয়ার্সের ও চতুর্থ ওভারে অসি অলরাউন্ডার ম্যাক্সওয়েলের উইকেট তুলে নেন নারিন।

পাঁচটি উইকেট ঝুঁলিতে জমা করতে পারতেন নারিন। শাহবাজের উইকেটও তুলে নিতে পারতেন। তবে ১৬.১ ওভারে তার ক্যাচ ছাড়েন শুবমান গিল।

দুটি উইকেট শিকার করেছেন লকি ফার্গুসন। ম্যাচে সাদামাটা পারফরম্যান্স দেখান সাকিব। ৪ ওভার বল করে ২৪ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি এ অলরাউন্ডার।

শুরুতে ওপেনার দেবদূত পাড্ডিকেলকে ২১ রানে থামান ফার্গুসন। এরপরই নারিনের ঘূর্ণিজাদুতে কুপোকাত হতে থাকেন একের পর এক ব্যাটার।

প্রথমে ভরতকে ৯ রানে সাজঘরে পাঠান নারিন। এরপর কোহলিকে সরাসরি বোল্ড করেন। কোহলি ফেরেন ৩৩ বলে ৩৯ রান করে।

১৬.৪ ওভারে নারিনের বলে ফার্গুসনের হাতে ধরা পড়েন গ্লেন। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৮ বলে ১৫ রান করেন ম্যাক্সওয়েল।

কোহলির অনুসরণ করে নারিনের বলে বোল্ড হন ভিলিয়ার্সও। ৯ বলে ১১ রানে ফেরেন। এরপর শিভাম মাভি দুর্দান্ত থ্রোতে ৯ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন ক্রিশ্চিয়ান।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানে থামে ব্যাঙ্গালুরু।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img