চৌধুরী এনজি মাহমুদ কঠিন দুঃসময়ে সাহস না হারানোর মন্ত্রণা দিয়েছিলেন: নাছির

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন মরহুম চৌধুরী এনজি মাহমুদ কামালের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেছেন, তাঁর প্রতিবেশী হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছি। তিনি আমাদের কঠিন দুঃসময়ে সাহস না হারানোর মন্ত্রণা দিয়েছিলেন। তাঁর ঘরের বারান্দাটি ছিল আমাদের বসার আশ্রয়স্থল। সেখানে তিনি আমাদের পরম মমতায় সামনের দিকে পথচলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।সেই পরামর্শ অনুযায়ী আমরা আজকের অবস্থানে দাঁড়িয়েছি।

রোববার (৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য এবং সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী চৌধুরী এনজি মাহমুদ কামালের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে নগর আওয়ামী লীগের স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রয়াত নেতারা ছিলেন আমাদের রাজনৈতিক ভাবাদর্শ ও চিন্তা চেতনার আদর্শের পূর্বসূরি। তাঁদের পথ ধরেই আমাদের কঠিনকে আলিঙ্গন করে, প্রকৃত বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে।
আমরা যারা আমিত্ব জাহির করার জন্য রাজনীতি করি, তা কখনো কামিয়াব হবে না। কারণ আমিত্ব মানেই স্বার্থপরতা। ৭৫ পরবর্তী কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছি। আমরা তখন দেখেছি দলের ভেতরে থেকেই মহলবিশেষ দলকে ভাংচুর করার চেষ্টা করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাতে দেশের প্রত্যাবর্তন করতে না পারে, সেজন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করেছে। এমনকি দলের কেন্দ্রীয় অফিসও দখল করে রেখেছিল। চট্টগ্রাম থেকে সেদিন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও চৌধুরী এনজি মাহমুদ কামালের পরামর্শ ও নির্দেশনায় বাসযোগে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগ কার্যালয় ষড়যন্ত্রকারীদের দখলমুক্ত করি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের বিতাড়িত করি। সেইদিনের সেই তেজদৃপ্ত ভূমিকায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করে দলের পথ সুগম হয়েছিল।

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা যারা রাজনীতি করি তারা এখন নানা ভাবে বিভিন্ন কারণে বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছি এবং নিজেরাই আত্মঘাতী কাজে অজ্ঞানবশত শামিল হয়ে দল ও জাতির ক্ষতি সাধন করছি। অথচ প্রয়াত চৌধুরী এনজি মাহমুদ কামাল এমন একজন রাজনীতিক ছিলেন যিনি সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হয়েও রাজনীতিকে গরিবের স্বার্থরক্ষার জন্য প্ল্যাটফরম তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আমরা যারা নগর আওয়ামী লীগ করি, তাদের আমাদের পূর্বসূরি চৌধুরী এনজি মাহমুদ কামালসহ অন্যদের পদাংক অনুসরণ করে দল ও নিজেকেই পরিশুদ্ধ করতে পারলেই আমরা বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বিনির্মাণে সফল হব।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যারা করেন, তারা সাধারণ ঘরের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তাদের স্বার্থরক্ষায় সর্বস্ব ত্যাগ সাধনে সচেষ্ট। এর বাইরে ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারে যারা আওয়ামী লীগ করতে চান, তাদের জন্য আওয়ামী লীগের দুয়ার চিরদিনের জন্য বন্ধ।

নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা সফর আলী, প্রয়াত চৌধুরী এনজি মাহমুদ কামালের ভাইপো বিশিষ্ট চিকিৎসক ও পেশাজীবী নেতা ডা. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, আইন সম্পাদক শেখ ইফতেখার সা্ইমুল চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বেলাল আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাশেম বাবুল, মুসলিম উদ্দিন, আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, প্রয়াত চৌধুরী এনজি মাহমুদ কামালের সন্তান জুলকারনাইন মাহমুদ সুমন।

উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ সমশের, মশিউর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য কামাল উদ্দিন আহমদে, আবদুল লতিফ টিপু, থানা আওয়ামী লীগের মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নুর মোহাম্মদ নুরু, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, আমিনুল হক মঞ্জু, মো. আলী নেওয়াজ, ফয়জুল্লাহ বাহাদুর, সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, আবদুল মালেক, মো. এরশাদ উল্লাহ, ইকবাল হাসান চৌধুরী, মিথুন বড়ুয়া, গোলাম মোহাম্মদ জুবায়ের, হাজি ইউনুছ কোম্পানি, নাজিমুল ইসলাম মজুমদার, লুৎফুল হক খুশি প্রমুখ।

৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মরহুমের হাটহাজারীর বাড়ি প্রাঙ্গণে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img