যৌন হয়রানির মামলায় ঢাকা সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে এ জামিন আদেশ দেন।
চিত্তরঞ্জন দাস ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুনের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন আদালতে। শুনানি শেষে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিনের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি এলাকায় নির্যাতিতা ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের দোকানদার দোকান মেরামতের কাজ করতে গেলে চিত্তরঞ্জন দাস ওই চা দোকানদারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে কথা বলার জন্য রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইল ফোনে ফোন দেন নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই নারী। চিত্তরঞ্জন দাস তখন ওই নারীকে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য রাত ৯টায় তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।
রাত ৯টায় যাওয়ার কথা থাকলেও ওই নারী রাত পৌনে ১০টার দিকে তার স্বামীসহ চিত্তরঞ্জনের কার্যালয়ে যান। চাঁদার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস পাশ কাটিয়ে যান এবং তাকে পাশের একটি কক্ষে বসতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পর চিত্তরঞ্জন ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ভিডিওতে দেখা যায়, এ সময় চিত্তরঞ্জন ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলতে থাকেন। কিছুক্ষণ ইতস্তত করার পর ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকেন। এ সময় চিত্তরঞ্জন অশালীন অঙ্গ-ভঙ্গী করে ওই নারীকে তার সাথে কুপ্রস্তাব দেন। আত্ম-সম্মানের ভয়ে ওই নারী তখন কোনো চিৎকার করেননি বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
একই সময় চিত্তরঞ্জন দাস ওই নারীকে আবার পরদিন তার কার্যালয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। নির্যাতনের শিকার হওয়া ওই নারী নিজেকে রক্ষা করার জন্য হ্যাঁ বলে সেখান থেকে বের হয়ে আসেন বলে মামলায় অভিযোগ করেন।
তবে জামিন পাওয়ার পর চিত্তরঞ্জন বলেন, মিথ্যা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জনের দাসের বিরুদ্ধে বাসাবো কমিউনিটি সেন্টারে রাখা সরকারি অব্যবহৃত সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে বলে সূত্র থেকে জানা যায়।