সৌদি আরবের তেলসমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করার সময় দুটি শিশু আহত হয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন খবর দিয়েছে।
দাম্মাম শহরের উপকণ্ঠে ক্ষেপণাস্ত্র উড়ে আসলে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়া গোলার টুকরায় দুই সৌদি শিশু আহত হয়েছে। আর হালকাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১৪টি বাড়ি।
বার্তা সংস্থা এসপিএ’র ছবিতে ভাঙা কাচ ও কয়েকটি আবাসিক ভবনের বিধ্বস্ত দরজা দেখা গেছে। এই হামলার জন্য ইরান-ঘনিষ্ঠ হুতি বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট। তবে ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের কাছ থেকে কোনো দায় স্বীকারের খবর আসেনি।
সৌদি বলছে, প্রতিরোধ ও ধ্বংস করা ক্ষেপণাস্ত্র দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জাজান ও নাজরানের দিকে যাচ্ছিল। আগের খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরকভর্তি তিনটি ড্রোন সৌদি আরবের দিকে উড়াল দিয়েছিল।
উল্লেখযোগ্য তেল স্থাপনা রয়েছে সৌদির পূর্বাঞ্চলে। এর আগেও আকাশ হামলার শিকার হয়েছিল এসব স্থাপনা। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সৌদি তেল জায়ান্ট আরামকোর দুটি স্থাপনায় হামলায় স্বল্প সময়ের জন্য তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা নিয়মিতভাবেই সৌদিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। অতীতে সৌদি তেল স্থাপনায় বেশ কয়েকটি হামলার দায় স্বীকারও করেছে হুতিরা।
তবে রোববারের হামলায় সৌদি-নিয়ন্ত্রিত তেল স্থাপনা আরামকোর বিভিন্ন স্থাপনায় কোনো প্রভাব পড়েনি। বরং স্থাপনার বাইরে হামলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দাবি করেছে।
সৌদি তেল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিজেদের ভূখণ্ড রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুসারে বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় আন্তঃসীমান্ত হামলা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২০১৫ সালে ইয়েমেনে বিমান হামলা শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মানুসর হাদির পক্ষে এই যুদ্ধে অংশ নেয় প্রতিবেশী উপসাগরীয় দেশটি। এতে দেশটিতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। কয়েক বছরের যুদ্ধে এখন দুর্ভিক্ষের কিনারে গিয়ে ঠেকেছে ইয়েমেন।