আফগানিস্তানের সবশেষ প্রদেশ পাঞ্জশির নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার দাবি করেছে তালেবানরা। এদিকে, একদিন পিছিয়েছে আফগানিস্তানে তালেবানের সরকার গঠন। এরইমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে গোষ্ঠীটি।
আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণের তিন সপ্তাহের মাথায় চলছে সরকার গঠনের তোড়জোড়। একদিন পেছাল পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীসভা ঘোষণার দিন।
সরকারের নেতৃত্বে থাকছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল গণি বারাদার। তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন তালেবান প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুব, শের মোহাম্মদ আব্বাস স্টনেকজাই। সংগঠনটির সর্বোচ্চ নেতা হেবায়েতুল্লাহ আখুন্দজাদার হবেন দেশটির প্রধান নেতা।
এদিকে, তালেবানকে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত পশ্চিমা বিশ্ব। নিজেদের নাগরিক ফিরিয়ে নিতে, মানবিক এবং কারিগরি সহায়তা দেয়া নিয়ে তালেবানের সঙ্গে কাতার ও তুরস্কের সঙ্গেও কাজ চলছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, শর্ত না মানলে স্বীকৃতি দেয়া হবেনা।
আর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক জানান, আফগানিস্তান নিয়ে তালেবানের সঙ্গে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা থাকলেও এখনই তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের নেই।
তিনি আরও বলেন, শর্ত মানলে তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারকে আমরা স্বীকৃতি দেবো। আফগানিস্তানে এখন চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট এবং মানবিক বিপর্যয় চলছে। আমরা সহায়তা করতে প্রস্তুত তবে শর্ত মানতে হবে তাদের।
এদিকে, নতুন সরকার ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যেই বিরোধীদের সঙ্গে তুমুল লড়াই ও সংঘর্ষের পর কাবুলের উত্তর পূর্বে পাঞ্জশির উপত্যকা দখলে নেয়ার দাবি করেছে তালেবান। এসময় তারা বিজয় উল্লাস করেন বলেও জানায় গণমাধ্যম।