মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে আরও ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৭১৯ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে আরও সাত হাজার ২৪৮ জনের শরীরে। মোট শনাক্তের সংখ্যা ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪ জন।
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের হার কমেছে প্রায় দুই শতাংশ। উল্লিখিত সময়ে ৪১ হাজার ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে শনাক্ত হয়েছে সাত হাজার ২৪৮ জন। শনাক্তের হার ১৭.৬৭ শতাংশ। গতকাল মঙ্গলবার এই হার ছিল ১৯.১৮ শতাংশ। প্রায় ৫২ দিন পর মঙ্গলবার দেশে করোনা শনাক্তের হার ২০ শতাংশের নিচে নামে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত এক দিনে শনাক্তের প্রায় দ্বিগুণ করোনা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এদিন ১২ হাজার ১১২ জন করোনা থেকে সুস্থ হন। মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৮ জন।
মারা যাওয়া ১৭২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৬৭ জন, চট্টগ্রামের ৪৭ জন, রাজশাহীর আটজন, খুলনার ১৬ জন, বরিশালের পাঁচজন, সিলেটের ১৫ জন, রংপুরের চারজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ১০ জন।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৬২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে সাতজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে চারজন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুজন।
এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ১২৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪২ জন এবং বাড়িতে তিনজন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে।