নভেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

করোনা মহামারি সংক্রমণ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝিতে এসএসসি এবং ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এর আগে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি কমে এলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি এবং ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সবকিছুই নির্ভর করছে দেশের করোনা পরিস্থিতি ওপর। এর আগে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উভয় পরীক্ষায় গ্রুপভিত্তিক নৈর্বাচনিক তিন বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হলে অ্যাসাইনমেন্ট ও সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রণয়ন করা হবে।

দীপু মনি জানান, এসএসসি ও এইচএসসিতে মূল্যায়ন হবে গ্রুপভিত্তিক। বাংলা, ইংরেজির মতো আবশ্যিক বিষয়ের মূল্যায়ন হবে না। অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শেষ করা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। আর পরীক্ষা না নিতে পারলে অ্যাসাইনমেন্ট এবং সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশ করা হবে।

করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী হওয়ার কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণের হার কমছে। কিছুদিন আগেও সংক্রমণের হার ছিল ৩০-৩২ শতাংশ। এখন তা কমে ২২-২৩ শতাংশে নেমে এসেছে।’

গত বছরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছরের ডিসেম্বরে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল। এছাড়া টিকাদান ব্যাপকহারে শুরু হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সীমিত পরিসরে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দিলে সবধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকায় আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হয়নি। ফলে গত বছরের এইচএসসি পরীক্ষা নিতে পারেনি সরকার। জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফল দেওয়া হয়।

এবারও কয়েক দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চেষ্টা চালিয়েও শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। ফলে পাঠদান কর্মসূচিতেও ব্যাঘাত ঘটেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরবর্তী দুই সপ্তাহ পর এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এসএসসি ও সমমানের জন্য ৬০ দিন এবং এইচএসসি ও সমমানের জন্য ৮৪ দিনে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করার পর দুই সপ্তাহ সময় দিয়ে দুই পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

- Advertisement -spot_img
- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ

- Advertisement -spot_img

এই বিভাগের আরও

- Advertisement -spot_img