টিকা না নিলে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না, এমন গুজবের জেরে ফিলিপিন্সে একদিনে রেকর্ডসংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভিড় বেড়েছে টিকা কেন্দ্রগুলোতে।
একটি মাত্র গুজব আর তাতেই সাড়া। হুড়মুড়িয়ে টিকা কেন্দ্রে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। এত দিন করোনার টিকাদানে আগ্রহ না থাকলেও সম্প্রতি ফিলিপিন্সে গুজব ছড়িয়ে পড়ে—টিকা না দিলে ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এমন কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। তবে গুজব বলে কথা।
দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। আর তাতেই বৃহত্তর ম্যানিলার বিভিন্ন শহরে টিকাকেন্দ্রে ঢল নামে মানুষের।
গুজব ছড়ানোর পর টিকা দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থাই ২৪ ঘণ্টাই টিকাকেন্দ্র খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুল ও স্টেডিয়ামকেও টিকাদান কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এত দিন টিকাকেন্দ্রগুলো খা খা করলেও আকস্মিক গুজবে চিত্র পাল্টে গেছে। দিন দিন বাড়ছে টিকা নেওয়াদের সংখ্যা।
টিকা নেওয়া এক নারী বলেন, সকালে কাজ করাটা আমাদের জন্য অনেক উপকারের। আমাদের অনেক মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। তাই টিকা নেওয়াটাই নিরাপদ। আগে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হতো। তবে মানুষের ভিড় দেখে এখানকার মেয়র ২৪ ঘণ্টা টিকা কার্যক্রম চালানোর ব্যবস্থা করেছেন।
এত দিন টিকা না নেওয়ার নানা অজুহাত দেখালেও এক গুজবেই বিশাল একটি অংশ এরই মধ্যে টিকার আওতায় এসেছে।
এদিকে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো বলেছেন, স্পুটনিক-ভি টিকা করোনার ডেল্টা ধরন ঠেকাতে প্রায় ৮৩ শতাংশ কার্যকর। তবে টিকাটির এই কার্যকারিতা আগে যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে কম।
দেশটিতে করোনা শনাক্ত বেড়ে যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ অতি সংক্রামক ডেল্টা ধরনের পাশাপাশি পর্যাপ্ত টিকা থাকার পরও জনগণের টিকা নেওয়ার অনাগ্রহকে দায়ী করেছে। স্পুটনিক-ভি কোভিড টিকা প্রস্তুতকারকরা গত জুনে বলেছিল, এই টিকা ডেল্টা ধরন ঠেকাতে ৯০ শতাংশ কার্যকর।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ডেল্টার বিরুদ্ধে এই টিকা ৮৩ শতাংশ কার্যকর হতে দেখা গেছে।
টিকা প্রস্ততকারক গামালিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক অ্যালেক্সান্ডার গিন্টসবার্গ বুধবার ইজভেস্তিয়া পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, স্পুৎনিক-ভি করোনাভাইরাসের সব ধরনের বিরুদ্ধেই কার্যকর ও নিরাপদ।