কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর স্বাস্থাবিধি মেনে আবারও চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন। যত সিট তত যাত্রী নিয়ে বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিবহন চলতে শুরু করে। এতে সাধারণ যাত্রীদের মনে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে।
এর আগে রোববার (৮ আগস্ট) সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে জানানো হয়, যত সিট তত যাত্রী নিয়ে ১১ আগস্ট থেকে চলতে পারবে গণপরিবহন। তবে মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক গাড়ি নামতে পারবে সড়কে।
তিনি বলেন, এক মালিকের কয়টি গাড়ি আছে বা কতটা গাড়ি সে দেশব্যাপী চালাচ্ছে এ বিষয়টি নির্ণয় করা একদিকে যেমন কঠিন হবে, অন্যদিকে শ্রমিকেরা বেকার থাকবে, তাদের কষ্ট লাঘব হবে না। মালিকরাও ব্যবসায়িকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাছাড়া অর্ধেক গাড়ি চলাচলের ফলে পরিবহন সংকট দেখা দেবে এবং যাত্রীর চাপ বাড়বে। এতে করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।
১. আসন সংখ্যার অতিরিক্ত কোনো যাত্রী পরিবহন করা যাবে না এবং দাঁড়িয়ে কোনো যাত্রী বহন করা যাবে না। সড়ক পথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দপ্তর/ সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
২. পূর্বের ভাড়ায় (৬০ শতাংশ বর্ধিত ভাড়া প্রযোজ্য হবে না) গণপরিবহন চলবে। পূর্বের ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া কোনোভাবেই আদায় করা যাবে না।
৩. গণপরিবহনের যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার/কন্ডাক্টর, হেলপার-কাম ক্লিনার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
পবিত্র ঈদুল আজহার পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। পরে সেটি বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়। এরপর ৮ আগস্ট মন্ত্রিসভা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে কঠোর লকডাউন শিথিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।