করোনাভাইরাস প্রতিরোধী গণটিকাদানে দক্ষিণ এশিয়ার তুলনায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। শুক্রবার (৩০ জুলাই) আইএমএফ, ওয়ার্ল্ডব্যাংক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থা ‘টাস্কফোর্স অন কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনস- এর ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টাস্কফোর্সের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ১০০ জনের মধ্যে টিকার ডোজ নিচ্ছেন শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে ভারতে শূন্য দশমিক ৩১, পাকিস্তানে শূন্য দশমিক ১৯, নেপালে শূন্য দশমিক ৩৩ এবং শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ৬৩ মানুষ টিকা নিচ্ছেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে গড়ে প্রতি সপ্তাহে ১০০ জনের মধ্যে আফগানিস্তানে এই হার শূন্য দশমিক ০৫, ভুটানে শূন্য দশমিক ০৪ এবং মালদ্বীপে শূন্য দশমিক ০৮ মানুষ টিকা নিচ্ছেন।
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার এবং যে গতিতে বর্তমানে টিকাদান চলছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি দেশের ৬০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনার যে লক্ষ্য বাংলাদেশ নিয়েছিল তা কখনই পূরণ হওয়া সম্ভব নয়।